প্রাণে ধারন করা ধারালো তীব্র আকাঙ্ক্ষা সমুখে পেতে রাখে-
নিশ্চুপ সূচালো কালো চাদরে ঢাকা প্রাণান্তের ভবিষ্যৎ।
মৃত হয়ে অজানা পথের বাঁকে পড়ে রয়-
পার্থিব অনাকাঙ্ক্ষিত পাশে পাওয়া ব্যাথার দর্প।
স্বপ্নগুলো পড়ে থাকে সৌন্দর্যের তোরে তরুণীর বেনি-পাকানো
ঘন চুলের কপাল ছোঁয়া চিরুনির টানের প্রতি ভাঁজে।
কার্তিকের নাজুক বৃষ্টিতে পাশের বাড়ির পোষা পাখিগুলো-
চুপসে থাকে নিদারুণ কাঁচা সদ্য ভূমিষ্ঠ চিরচিরে-
মিহিদানা কণ্ঠের মতো উছপিছ করে-
আলতো আলতো শীতসর্বস্ব রাত্রির বুকে মিশে।
পিষে পিষে চলে মহিষের গাড়িগুলো ভাওয়াইয়া মাটির-
উঁচুনিচু খানাখন্দে সরল বিকেলের ডাকতে থাকা গোধূলি প্রভায়।
একফালি ফোয়ারা চাঁদ মিষ্টি আলোকে আলয়ে সূর্যস্নাত হয়ে-
কলঙ্ক ছাপিয়ে যায় উজালা সৃষ্টির চোখে রাতের টিপ হয়ে।
রাতজাগা পেঁচা গুনে রাখে গভীর রাতের জোয়ার-ভাটা।
দাঁতে দাঁত চেপে মিচমিচে গুড়গুড়ে হ্যাংলা আকাশ-বৃষ্টি
বিষ ধরায় ঘরের বাহিরদের ছোটাছুটিতে।
সমুদ্রজল ক্লান্ত হতে হতে বিতৃষ্ণ,
তবুও নয় সৈকতে আছড়ে পড়তে পড়তে।
জায়নামাজে দাঁড়ানো সৃষ্টির সেরাদের ভুল-দোষ,
সর্বসমেত ভুলে যায় সৃষ্টিকর্তা।
হারতে হারতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও,
ভাঙ্গা মন; জোড়াতালি দেহ বারবার উঠে দাঁড়ায়-
সতেজ দৃপ্ত মনোজে সাহসে।
বুকের ব্যাথা ছাপিয়ে ছাপিয়ে মাঝি বেয়ে যায় উজানেও,
উদ্দাম বাতাসেও গলায় বুনে ভাটিয়ালি সুর।
তীরের টানে নয়ন ভরা জল তারও সুনন্দা নদীর প্রাণে ভাসে।