কিছু স্মৃতি ধুঁয়াটে কালো হয়ে প্রদক্ষিণ করে মৃত লাশের মুখ খোলা দবদবে।
মনের আঙিনায় বিলীন হতে চাওয়া বিস্মৃত অনুভব কথা বলতে শেখে উলটো স্রোতে।
যদি বলি জীবনের প্রেক্ষাগৃহে মাতম চলে বলিদানের থমথমে বৃষ্টিভেজা দেহটাতে-
তবে কিনা আমি বা তোমরা দেখে যেতে চাও মনের ওপারে থাকা দুখের বাতিঘর।
উত্তরাধিকারের ছায়ায় থাকা বেঁচে থেকে থেকে লোনাজল যার দৃষ্টির পরতে পরতে-
সে কিনা অহর্নিশ কিংবা নির্নিমেষ হিসেব মেলাতে কিঞ্চিৎ ভুল করে বসবে?
দেহের অসুখে দেহ মরে যায়; মনের অসুখে তাও তো দেহ বেঁচে রয়-
বাগানের শিলা ঝরা আমের আঁটিতেও নতুন একটি জীবন থাকে।
জীবন থাকে শুষ্ক গ্রীষ্মের শেষে আকাশের লুকিয়ে থাকা বৃষ্টির জলের ঝরে পরা প্রতিদানে।
এই চোখ একদিন প্রস্ফুটিত হয়েছিল, মেপেছিল পৃথিবীর তাপ সুবহে সাদিকে।
মৃত্যুর লহরে নহরে কোন সে প্রহরে আবারও নতুন প্রশান্তিতে আত্মার অন্বয়-
দিব্য দীপ্তে তাঁর ইচ্ছেতে কোথায় কার আঘাতে ভবিষ্যৎ রেখে এ মায়াবীতে-
স্বর্গ-রচিত পথে পা বাড়াবে?