কতোটা আবেগের বিসর্জনে কান্না আসে?
কতোটা ভালোবাসলে পরে নির্মেঘ ছায়ার মতো দু’গাল হাসে?
সময়ের চলনে-বিচরনে মুগ্ধ চোখগুলো-
কতোটুকু প্রেমময় হয় মনে মনে?
মৌনতায় মিশে থাকে প্রগাঢ় রুচিবোধের অপ্রকাশিত ভালোবাসা।
যদি সত্যিই লুকিয়ে থাকে নিগুঢ় কাছে আসা।
মৌনতার ভালোবাসা সত্যিই নিরেট নির্বাক যদিও-
ক্ষণিকে কাঁদে লুকিয়ে দু’টি গোপন চোখ হতবাক করে আলাদা।
প্রেম এক সংজ্ঞাবদ্ধ প্রজ্ঞাময় সন্ধি।
ভালোবাসা আর প্রেম এক নয় তবুও যেন একই বৃত্তের পরিধি।
প্রেম চারপাশ আর ভালোবাসা মধ্য-বিন্দু।  
সবচেয়ে ভালো লাগে বুক ভরা ভালোবাসায় মৃদু মৃদু হাসতে।
প্রেমে ছুরিও চলে কখনো কখনো এক দমে।
ভালোবাসার বাঁধন সৃষ্টিকর্তার বিলাসী পাড়।
ভালোবাসা আসে স্বপ্নের মতো রঙ ছড়িয়ে।
প্রেম আসে দীক্ষায়।
প্রেমের বুকে ছুরি চালাতে গেলে কষ্টের তীর এদিক-ওদিক দেয় ছুট।
প্রেম কখনো কখনো বিষের পারদ হয়ে যায়।
যখন থাকেনা কোন আন্তরিক বিশ্বাস।
ভালোবাসার কাব্য থাকে অন্তরের গহীন খাদে।
ভালোবাসা দুই মনের সাজশে দারুণ এক কাছে আসা।
প্রেম হয় সৃষ্টিকর্তার সাথেও।
এই প্রেমের বিশালতা খুবই গভীর।
খুবই একান্ত নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো।
এই বিশ্বাসের যদি বিপরীত হয়,
তবে সত্যি হয় মাঝে মাঝে রিক্তের মতো শূন্যতা।
সৃষ্টিকর্তার সাথে প্রেমের মগজে খাঁদ নেই-
যদি থাকে মননের বিশালতা।
মানুষের সাথে মানুষের প্রেমে হতবাক করা বিশ্বাসঘাতকতাও-
সদৃশে আবেগের হিমঝর হয়ে পড়ে থাকে টাল হয়ে।
যেন মনে করতে পারেনা কিছু কেউ ছিল এইতো কিছুটাও আগে।
প্রকৃতির বোঝাপড়া মিটিয়ে মনের বাড়ি ফেরা যে খুব কঠিন কাজ।
থাকো প্রেম সব অন্তরে ফুল মালতীলতার মতো।
থাকো ভালোবাসা পাশাপাশি দু’টি অভিন্ন-
ফেরারি মনের সব দিক জুড়ে।
কেন কখনো তুমি পাঁজর হারা হত্যা হবে?
কেন প্রেম তুমি দিশেরহারা নরক হবে?