কুমোরের কুমারী মেয়েটি


কুমোরের কুমারী মেয়েটি
শিউলির সুবাস কুড়ায়।
মাটি মাখা হাতে তার
বাবা দেখে এসেছে প্রহর,
ঠিক তারপর
কুমারীর নিশীথ যাপন,
শৈলশিখরসূতা কমললোচন।


তবে সেই কুমারীর জেগে থাকা
মোমবাতি ঘরে,
আলোর প্রতিভা কিছু বোঝেনি তো সেও,
ঠিক তারপরে যদি ডাকে কেউ?
আলোক-মঞ্জরী পসারিণী?
তার চোখে মধ্যযামিনী।


কুমারীর বুড়ো বুড়ো মন,
যেন কতকাল দেখেছে বোধন!
শুধু তাই কি?
বিস্ময় বলে কিছু নেই
রোজ ভোরে ঘুম ভাঙবেই
              আমাদের চোখের ওপারে।


কুমারীর একলা পাহাড়ে
যদি কেউ চলে যেতে পারে,
শৃঙ্গকে দেখে একবার
যদি বুঝে নিতে পারে
"পৃথিবীর কতটা আমার?"
ঠিক তারপরে
কাশের আড়াল থেকে ভেসে আসে ঢাকের আওয়াজ,
কুমারীর আজ কারুকাজ।