পড়শি ঘাটে বড়শি হাতে
রাখাল যদি যায়,
বড়বাবুরা বজ্রনাদে
বক্ষ ছিঁড়ে খায়।


বদ্ধ কানন নেইকো তরু
বিষের ঝাঁকা ফোটে,
তিক্ত ফলে কানন যে তাই
উপচে পড়ে ফাটে।


বদের হাঁড়ি বণ্টিত হায়
বদনসিবের ঘাটে,
বড়বাবুদের অকাল মরণ
বদভ্যাসে জাগে।


বাস্তুঘুঘু যায় না চেনা
বড়বাবুদের গৃহে,
বড়বাবু তাই মরণকালে
বাস্তুঘুঘু চেনে।


কৃষক ঘরে দেখবে তুমি
কৌমুদীরই ক্রোড়,
নয়তো ক্লেদ নয়তো ক্লীব
তাদের ঘরের ওড়।
ওষ্ঠাধরে নেইতো তাদের
ঔষ্ণ দ্বীর্ঘশ্বাস,
কাটায় তারা সুখের জীবন
সুখেই সিক্তশ্বাস।


মরণকালে পায় যে তারা
কণ্ঠমণির হার,
পায় না তারা তোমার মতো
কঞ্চুকীরই তার।


গন্ধী যদি একটুখানি জানত তোমার প্রাণ
ত্রাহি করে ছুটত তারা, করতে তুমি চান।


দাসপতি হয় বা যদি তোমার দানের দাস
দাসের সুতের অন্ন খেয়ে
বাঁচবে তোমার প্রাণ ।
সেই দিন আজ ,যেদিন রাখে
দাসত্বরই মান।