আজ অদ্ভূত আকাশ
    নিখিল বিশ্বময়
অদ্ভূত অনুভবে
স্তব্ধ অতিশয়


প্রভু?


তুমি কি আছ রাতের তারারা জুড়ে?
তুমি কি আছ শতাব্দীকাল আমার অনুভবে?
রাতের আধার জানে
হঠাত হারিয়ে মন পেয়েছি আমি যাকে
ক্ষণকাল ক্ষণদিন বেলা অবেলার মাঝে
সেই মহান সত্তা তুমি ।
দিন যায়, ক্ষণ যায়, যায় যায় বহুকাল
আবেগের ঘনঘটা পুরে দেয় চারিহাত
প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম, শতাব্দী থেকে শতাব্দী
দিন থেকে রাত, আলো থেকে আঁধার
চাঁদ থেকে রবি, পাতাল থেকে ভূমি
কী অনুভব !কী অনুভব! কী অনুভব তুমি !!!!!
হঠাত কি আবেশে জুড়িয়ে গেল প্রাণ
জানি না জানি না তুমিই কি এই দান ?


প্রভু তুমি তৈরী কর শুক্রবিন্দু থেকে
প্রভু তুমি তৈরী কর রক্তজমাট করে
প্রভু তোমার লীলা বড় , দেখতে অবাক লাগে
রক্তকণা রক্ষা করে বিশাল দেহটাকে ।
পেটের ভেতর লুকিয়ে থাকে ,ব্যাকটেরিয়ার ঝাঁক
তোমার কথা শুনে তারা, অস্ত্রে ওঠায় হাত
প্রভু তোমার এমন খেলা কে দেখেছে হায়
পায়ের শিরা বুকে এনে বাঁচায় হৃদয়টায়...


থাম!!!!
অন্ধকারে তাকিয়ে দেখ , ঘাসের চাদরে শুয়ে
প্রতিটি প্রজ্জ্বলিত প্রদীপের কণা শত সহস্র সৈনিক
ঘূর্ণায়মান অবনী ঘোরে , কৌণিক গতি কৌণিক ।
কৈশিক জালি ঘিরেছে শরীর ,সেইখান জুড়ে যিনি
মহান সত্তা হে অনুভব জগতশ্রেষ্ঠ তিনি ।


আজ এতকাল এতপর মনের কুয়ো খুলে
পড়ছে মনে তোমায় প্রভু সকল অনুভবে ।
ছন্দ তোলার শক্তি আমার হারিয়ে গেছে দেখি
শক্ত মগজ শুষ্ক লেখা , আনন্দ নেই জানি।
তবু তুমি শোনো আমার কাব্যো লেখা চিঠি
তোমায় আমার চাই যে পাশে , হাতটা ধর তুমি
একলা বাতাস , মেঘলা বাতাস , সূর্য মেঘে ঢাকা
বিশাল মাথে দাঁড়িয়ে আমি খুজছি শুধু একা ।
বারে বারে ঝড়ের ঘোরে , হারিয়ে যদি যাই
বন্ধু আমার একটু যেন , তোমায় পাশে পাই ।


ইচ্ছে করে আকাশটাকে ছিন্ন করে কেটে ,
মিলিয়ে যাব নীল আকাশের সন্ধ্যোতারার সাথে ।
সন্ধ্যোতারার সাথে যদি সখ্য আমার হয়
তবে যেন বুদ্ধিখানি কমতো আমার নয় ,
বইয়ের জগত জ্ঞানের জগত পাইনে আমি ছুতে
তোমায় আমি ভরসা করি মিথ্যো জীবনটাতে ।
আবেগ নিয়ে খেলে জগত , আবেগ নিয়ে খেলে
প্রভু তুমি রক্ষা কর মিথ্যো আবেগ থেকে ।
প্রভু জানি কাউকে নিয়ে খেলবে নাত তুমি
তোমার কাছে হালকা করে ঘুমিয়ে যাব আমি ।।
প্রভু তুমি যদি আমায় বুঝতে শুধু পার
আকাশ পাতাল বর্ম হয়ে আমার সাথে থাক ,
মিথ্যে জগত ভুল পৃথিবী জানি আমি জানি
চাইনা কিছু এই জীবনে, ভালোই আছি আমি  ।।