কুয়াশা ভরা হিমেল হাওয়ায়
এক টুকরো প্রশান্তি,
নির্লোভ সবুজাভ আলোয়
অবিরত স্বস্তি



ভোর সকালে হিমেল কুয়াশা।এর মাঝে বসে বসে পড়ছিলাম ত্রিপিটক এর কিছু অংশ। যান্ত্রিকতা থেকে বেরিয়ে প্রকৃতির সাথে মিলিত হওয়ার তৃপ্তি শারীরিক কিংবা মানসিক নয় বরং আত্মিক।সমাজ ,সভা,প্রতিষ্ঠান ,গণ মানুষে কোলাহল পূর্ণ পরিবেশ মনের জন্য ভীষণ অনুপযোগী।আপনি আপনার মনকে কতক্ষণ কোন জিনিসের সংস্পর্শে রাখছেন তার উপর গড়ে ওঠে আপনার ভাগ্য।অহিত সাধন করে অথবা মনকে ভুল তৃষ্ণায় প্ররোচিত করে এমন একটি বাক্য শ্রবণ করার চেয়ে বধির থাকা শ্রেয়।চোখ,নাক ,কান,মন,চামড়া এ পাঁচটি বস্তুকে সবসময় পাহারার মধ্যে রাখতে হয়। কোনোভাবেই যাতে এতে তৃষ্ণার উৎপত্তি হয়ে অস্থিতিশীলতার জন্ম না হয়।মন যখন শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল তখনই তা জ্ঞানধারণের জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে।পবিত্র ও সৎ কাজে অবিরত থাকার মাধ্যমেই মনের সুস্থতা বজায় রাখা যায়।অসুস্থ মন থেকে কখনো প্রজ্ঞার জন্ম হতে পারে না। যে মনে সত্যি প্রজ্ঞার জন্ম হয় তা কখনো পার্থিব হতে পারে না।তার বৈশিষ্ট্য শুধুই অপার্থিব।


তাই বিজ্ঞতার সাথে সমাজ স্বীকৃত পেশার তুলনা এবং চিন্তা শক্তির সাথে টেকনিক্যাল নলেজের তুলনা মূর্খতা বৈ কিছু নয়।