দূর থেকে হরিনামের সুর ভেসে আসছে-
             শীতের রাত, সে সুর ভেসে যায় বহুদূর !
তার সাথে পাক পেড়ে খিচুড়ি, চাটনি ও আছে
          গোবিন্দভোগ চালের গন্ধ ছাপিয়ে যায় সে সুর।

ওরা দুজন ঠিক করল ডিনার আজসেখানেই করবে,
                     এঁটো-কাঁটা ফেলা গলা সে যাই হোক!!
সবাইতো আর সব কিছু খাবেনা, ডাস্টবিনেই ফেলবে
     অতসব মানলে হয় না এই তাদের কাছে রাজভোগ


দুটো পরিণত চোখ অপেক্ষায়, রাস্তা ফাঁকা হবার জন্য
           আর দুটো অপরিণত চোখ তার দিকে তাকিয়ে
চারটে শক্ত পা তৈরী এবার, রাস্তা পারাপারের জন্য
আর চারটে বেসামাল পা দিল দৌড়, লেজটা একটু গুটিয়ে!


হঠাৎ একটা জোরালো শব্দ, তারপর স্তব্ধতা...
       শক্ত পা গুলোতে কী যেন একটা ছিটকে এল!
রাস্তা পার করার পর রইল না সেই শাবকটার অবাধ্যতা
     মাঝপথেই তার জীবনটা, গাড়ীটা নিয়ে চলে গেল-


নিয়মমতো সকাল হল, মায়ের চোখ তখন আরও ব্যস্ত
     মিউনিসিপ্যালিটির গাড়ী এসে শবদেহ নিয়ে গেল;
তার শোক যেন তার দুচোখের গভীর জলে স্তব্ধ
যেন বলছে," মোর ছানাটাকে একটু যত্ন করে ফেলো !"


ওর কান্না বোঝার দায় কেউ নেয়নি সেভাবে,
           কেউ ভরিয়ে দিতে পারবেনা ওর মনের ক্ষত
     ও বুঝি, আজও রাস্তার ধারে বসে ভাবে,
"সেদিন ঐ গাড়ীটা আর একটু  সাবধানে চালালেও পারতো"!