এক পশলা বৃষ্টি ঝেঁপে এল
         তারপরেই ওঠে ঝকঝকে রোদ-
খানা খন্দে উপচে পড়া জল শুকোলো
         রাস্তা দাঁড়িয়ে দেখছে; হয়ে অবাক, নির্বোধ!


সকাল থেকে কত্ত গাড়ি,
        ছুটছে এদিক থেকে ওদিক দ্রুত।
রাস্তা বেজায় ধুলো মেখে গায়ে
       হয়তো গুনছে, গাড়ির সংখ্যা কত?


কতবার এসেছে নিউজ চ্যানেলে
        কখনো আবার খবরের কাগজের পাতায়;
যদিও তার কারণ দূর্ঘটনা কিংবা মিছিল-
     কখনো বেহাল দশার জন্য নিজের মুখ লুকায়!


মানব সভ্যতার পদাঘাত পড়েছে যেখানে
              তৈরি হয়েছে রাস্তা, তাকে অনুসরণ করে-
এই স্থির অজগর পৌঁছে গেছে অমৃতসরেও
          ১৯১৯ এর রক্ত যেখানে থাকে মনের গহনে।


রাস্তা- স্থির কেবল জন্মগতসূত্রে
           সমস্ত দ্রুততার সাক্ষী সে স্বভাবে,
চড়াই-উৎরাই প্রাপ্তি ভৌগলিকসূত্রে
      বুকের উপর খানা-খন্দ সংস্কারের অভাবে !


আকাশ তো অনেক বড় মনের
             কালো মেঘের কথা সে মনে রাখে না-
রাস্তাও বৃষ্টি ভেজে অনেক রাতে
                  সূর্য উঠলে সেও তা মনে রাখেনা-


ভিড়ে ঠাসা হোক কিংবা নির্জন পল্লী,
            বাঁক আসুক কিংবা তা হোক দিগন্ত বিস্তৃত-
রাস্তা অব্যাহত রেখেছে মানব সভ্যতার দৌড় কে;
  পিচ ঢালা বুকে ধুলো মেখে,চেপে রেখে সহস্র ক্ষত!