তোমায় যেদিন প্রথম দেখেছিলাম,
ভেবেছিলাম তুমি আমার সেই চাঁদ
যে তার পুর্ণিমার আলোয়
রাঙিয়ে দেবে আমার ঘর,
এক মায়াবী আবেশে।


কিন্তু খুব কষ্ট হয় এই ভেবে,
আমার ধারণাটা ভুল ছিলো।


তুমিতো চাঁদ,
তোমায় ঘরে আনবার স্বপ্ন
আমার মতো বামুনের পক্ষে
নিতান্ত হেয়ালিপনা ছাড়া আর কিবা হতে পারে?
তুমিই বলো।


এখন আমি বুঝি
মানুষ যা চায় সর্বদা তাই হয়না।


আমিতো নীল আর্মস্ট্রং নই।
যে কিনা চাঁদকে কাছে পাবার জন্য
পদচারণ করবে মহা শূন্যের মতো প্রাণহীন স্থানে,
অনন্তকালের চিরসাক্ষী হয়ে
‎অথবা ইতিহাসের কোনো এক বিশেষ চরিত্র হয়ে।

‎তোমায় পাইনি তাতে কি
‎সু্যোগ পেলেই তোমায় প্রাণ ভরে দেখি
আর মনে মনে ভাবি,
তুমি আমার সুখের কারণ
‎হয়তবা তাই।


তোমায় দেখলে
অজস্র খুশিরা ভীড় করে আমার মনের উঠোনে
এতো খুশি বোধ করি সেই নবদম্পতির মনেও থাকেনা,
যারা কিনা পূর্ণিমার রাতে অবগাহন করে ভরা জোৎস্নায়।


হয়তবা এতেই আমার পরম সুখ
যা শুধু আমিই অনুভব করি।
আর এভাবেই দূর থেকে দেখে যাবো তোমায়
যতদিন তুমি ঢাকা না পড়বে কালো মেঘের আড়ালে
আর বিচরণ করবে আমার কল্পনার রাজ্যে।