আজো প্রতিটা শিরায় শিরায় বান ডাকে,
রুক্ষ প্রান্তরে মুছে যাওয়া কালচে দাগ দেখে।
একটা গোপন ব্যাথার মত কি জানিনা.?
অনুভূতির ঝঞ্ঝা-স্রোত হয়ে ফুঁসে ওঠে বুকের সমতলে।
কয়েকশত অন্ধকারাচ্ছন্ন গর্ত
টেনে নিতে চায়,
দু'চোখে ছলছল করে উঠে আসে জল।
মহুর্তে উলট পালট হয়ে যায় সব,
স্মৃতি খুঁড়ে বেড়িয়ে আসে লক্ষ লক্ষ কঙ্কাল।
মূর্ছিতা বিবস্ত্র-বসনা অভিমানীরা কাঁদে,
তাদের চোখে শ্রাবণ মেঘের মত বর্ষা নাবে।
ক্ষণকের তরে ক্ষীণ আলো দিয়ে নিভে যায়,
রক্ত রাঙা মৃৎ প্রদীপ...............
বেদনা ম্লাণ চক্ষু অশ্রু ভারাক্রান্ত হয়ে উঠে,
অস্পষ্ট দীর্ণ-বিদীর্ণ কণ্ঠে কেঁদে ওঠি আমরাও।
এতটা বছর পরও অহেতুক আশঙ্কায়,
কলজেটা টনটন করে উঠে ব্যাথায়।
একদিকে ক্ষমতা, একদিকে ক্ষুধা,
একদিকে মৃত্যু ব্যাথা,অন্যদিকে প্রাণপ্রিয় স্বাধীনতা।
তবু আন্ধারে জেগে থাকে আমাদের চেতনা।