হাই স্কুলে যাওয়ার পর ছেলে তার
হাই হয়ে গেলে
না পড়ে পাঠ, খোঁজে নদী ঘাট
সারা বেলা শুধু খেলা মেন্দু – লালন মেলা
ক্রিকেট ঝি ঝি করে
আজ এ গ্রামে তোঁ পরশু ও গ্রামে
হেম শেষে সাধু বেশে মাঠে ঘাঁটে বিধু নামে বাবাদের নামে ।
এছাড়াও আরো আছে সব কিছুর পাছে পাছে
মন ছুটে যাই , সে যে তাই চাই ;
ক্লাব, কাব, দলবাজি, এটা ওটা বানানো, সবাইকে জানানো না-জানানো
প্রথম প্রথম মা ধমকাতেন, বলতেন
‘ছেরা আমার নষ্ট অয়া গেছে’ । বাবা থাকেন বাইরে মাসে দুদিনের জন্যে এসে কত কথার মাঝে আমার কথা যেত ভেসে – সিরিয়াল থাকে অনেক পড়ে – একেবারে অনশনে ।


এখন শুনি
তখন নাকি আমি টিন এজার ছিলাম- হা হা হা .....................


অনেক বাবা মায়ের মত, সমাজের এর দশটা প্রতিবেশীর বেশি আমি কেন পাব
তাই আমাকে ট্র্যাকে রাখার ইচ্ছাই ছিল না তাদের
               কারণ – এরা সব বদমায়েশ ছেলেমেয়ে ।
তাই
ইকবাল ছেলেটার তরী নদী মাঝ বরাবর
ভাসছিল ডুবছিল হাসছিল কে আবার
জনতা
অকাল পক্ব ছেলের অবাধ্যতা
                                 নাকি এর কারণ ।


মা আমার বলতেন
ক্লাস ফোরে তখন
‘ছেরা আমার ডাক্তার অইবো । ’ গত হলে কাল
লোকে ডাকবে ‘ডাক্তার ইকবাল চৌধুরী’ ।
শেষ করে পাঠ
    পানসি ভাসাবে পৌর ঘাট ।
আবির ছড়াবে – সুনামে ভরাবে- এনামে ফ্যামিলি ললাট ।


এখন আমি টিনএজার নই
মা আর ডাক্তার ছেলের স্বপ্ন দেখেন না
বাবার ব্যস্ততা নেই
সব ছাপিয়ে যা আছে
তা হলো
  তাদের অসীম ভালোবাসা যা আমার পথের পাথেয়
         যে জন্য আমি আছি এখনো ।