একরাশ বিস্ময় বিরাজিত দুই আঁখিপাতে।
হেরি অপলক হেথায় বিস্ময়াবিভূত নেত্রে।
নীলশান্ত আঁখি বুদ্ধিদীপ্ত, তেজোদ্দীপ্ত বদন।
লভিনি পরশ, হয়নি সাহস, দেখিনি সুখের স্বপন।
সে তো কেবল ই স্মৃতিপটে জমাট এক গোপন,
ব্যাথার চিনচিনে মৃদু বেদনার অতৃপ্ত দহন।
যেন তুষের অন্দরে সুপ্ত ধিকি ধিকি অনল।
অবশ্য তাতে ও রয়েছে খানিক সুখানন্দ বিমল।


বারেক পেছন ফিরে চাও।
দেখিতে কি পাও?
তার হরেক কথামালায় বাজে মোর বীণাপানি?
বোবা ভাষায় বর্ণহীন লিখা শ্লীল মন্তব্য খানি?


ওরে অবুঝ মন!!
কার কাছে তুই করিস আশ?
তার তো এখন ফাল্গুন মাস,
সর্ষে ফুলের ঝলকানিতে
ধাঁধিয়ে গেছে সে শ্যোনদৃষ্টি।
কেমনে দেখিবে সে তোর অন্তরের রক্তবৃষ্টি?
ছানি পড়ে ঝাপসা যে আজ তার অন্তর্দৃষ্টি।।