পূর্বপুরুষলব্ধ জ্ঞান
কাজী হেলাল
==============================


সময়ের লাঠি ঠুকে ঠুকে হেটে বেড়ান পূর্বপুরুষ
হেঁটে বেড়ান সময়ের ওপর ভর করে  !
পাহাড় সমান বয়স যার--
যিনি আমাদের পরমাত্মার কথা স্মরণ করিয়েছেন  বারবার--
তিনি বলেছেন--- এই জল স্থল অন্তরীক্ষ
মহাশূন্যের ওপারে মহাশূন্য এবং কালো শূন্যগর্ভ
যার স্থপতি এক এবং অদ্বিতীয়।


তিনি আমাদের শিখিয়েছেন সময়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে
সময়কে জয় করতে হয়---
জেনেছি আমরা রুক্ষ অনুর্বর জমিতে জল সেচে প্রাণ সঞ্চারের পদ্ধতি,
আরো পেয়েছি মাটির গভীরে সুপেয় পানির সন্ধান!
কৌশল; পাহাড় ও সমুদ্রকে আয়ত্তে আনার !
আমরা শিখেছি পূর্বপুরুষের কাছে ভূমির গভীরে লুকিয়ে থাকা
খনিজ উত্তোলনের জ্যামিতিক সূত্র --
সাংকেতিক চিহ্নে মহাত্মার অনুভব ,
যোগ- বিয়োগে শতায়ু অতিক্রমের বীজগণিত;


অনুসরণ করে নক্ষত্র খুঁজে নেয়া ছায়াপথ,
গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে ভ্রমণের ফলিত পদার্থবিদ্যা ---


আরো শিখেছি আমরা শ্বাপদের সঙ্গে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার কৌশল
উচ্চারিত ছিল আরো ;
মানুষ ও পশুর মধ্যে পার্থক্যের কথা,
তাদের খাদ্যাভ্যাস ও যৌন জীবনের কথা!
ষড়রিপুর কথা
সৎ-অসৎ সত্য -মিথ্যা
বিদ্রোহী আত্মাকে দমনের কথা!


জলের ভেতরে যাপিত জীবন,
জলজ উদ্ভিদের বর্ণ -কথা,
জলোচ্ছ্বাস, অগ্নি বর্ষণের কথন,
ভয়কে জয়ের অনুভব।


তিনি অবধারিত মৃত্যুর অভ্যন্তরীণ লুকায়িত রহস্যের দ্বার
উন্মোচন করেছিলেন আমাদের সম্মুখে !
মৃত্যুকে জন্মের অতী প্রিয় সারথী আখ্যায়িত করে
বলেছিলেন--
তারা দুই সহোদর
তাদের ভেতর তফাৎ শুধু আসা ও  যাওয়ার মাঝে ব্যবধানটুকু
একটি উচ্চাঙ্গ সংগীত থেমে গেলে চিরস্থায়ী বন্দবস্তের কথা।


আমাদের পূর্বপুরুষের সেই নির্দেশিত
আলো-আঁধারির পথকে অনুসরণ করে
মহাপ্রস্থানের পথে ধাবমান আমরা!
নিশ্চিত মহামিলনের
যেখানে উপস্থিত থাকবেন
সেই পরমেশ্বর-পরমাত্মা যিনি অবিনশ্বর !


অক্টোবর ৩,২০২১
টরন্টো,  কানাডা