রক্তে রক্তে রঞ্জিত,পলাশীর পান্তর!
আছে কার হিম্মত?কে ধরিবে খঞ্ছর?
অশ্বের পদতলে,ধুলোবালি পিষে,
গঙ্ঘা জলে,উঠিল টেউ,হুংকার গর্জিয়ে!
আম্রকাননে কামানের শব্দে, মৃত্তিকা কাপে!
আগুনের ফুলকি আকাশেতে ছুটে।
বৃট্রিশের সৈন্য পরাজিত প্রায়,
ক্লাইভের সৈন্য ছুটাছুটি প্রান বাচা ধায়।
তখন হঠাৎ নামে বৃষ্টি, যুদ্ধ হল বিরতি।
সেনাপতির আদেশে নবাবের সৈন্য ফিরে
সেনারক্ষে,
মেঘ ফাকে সূর্য, নিস্তব্ধ চারদিকে।
হঠাত কামানের শব্দ।শত্রুর আক্রমন!
কামানের গুলিতে মীর মদনের পতন!
বিট্রিশ হুররে!বলিয়া পড়িল জাপাঈয়া,
নবাবের সৈন্য ছুটিতে করিতেছে পলায়ন।
গর্জিয়া মোহনলাল কয় ফের তোমরা ফির রনাঙ্কে,
বিপদের এই দিনে কেন যাও ফেলে,
ধর অস্ত্র কর রন বাঁচাও রাজ্য সিংহাসন।
ছি!ছি! সেনাপতি চোখের সামনে আপন
সৈন্য পতন।
রনঙে দাড়াইয়া সাজিয়াছো কাঠের পতুল!
সেনাপতি বলে,ওরে অবোধ মুক্ত কুড়াতে,
এসে কি কেউ ফিরে ধুলো গায়ে মেখে?
আমি হব বাংলার নবাব শাসন করব মুরশিবাদ।
প্রভু যেন তোমায় নাহি করে ক্ষমা,
বিশ্বাসে তুমি করেছ ঘাতকা।
এভাবে হল ইংরেজের জয় নবাবে পরাজয়।
কালের সাক্ষি ইতিহাসে রয়।


রচনাঃ ২৩ শে জুন ২০১৭