রূপে রূপে মনোহর রূপের নেই তো শেষ,
তুমি মোদের রূপসি বাংলা সোনার বাংলাদেশ।
তোমার নদী তোমার জলে পালের নৌকা চলে,
স্রোতের শেওলা ভেসে যায় হেসে ফুলেল পালে।
দক্ষিনা বাতাসে দোল দেয় কচি ধানের মাঠ,
গায়ে গায়ে হাট বসেছে নেই যে কোথাও ফাক!
কুঞ্জ বনে ফোটে ফুল মঞ্চুরীয়া মেলে,
মধুর লোভে শত অলি এসে তাতে জুটে।
বিলের জলে শাপলা ফুটে সাদা সাদা ফুল,
দুষ্ট বালকেরা শালুক কুড়াতে করে নাকো ভুল।
লাল নীল শাপলা তুলে সারাদিন খেলায় মেতে।
তুমি বাংলা ষড় ঋতুর দেশ,
তোমার রূপের নেইতো শেষ,
গ্রীষ্মের আম কাঠালের মধুর গন্ধে,
দোয়েল শ্যামা পাখির গানে,
নতুনের কেতন জেগে উঠে।
চৈত্রের করা রৌদ্রে ঘাম জড়ে দরদর,
বটের ছায়ায় শ্রান্ত পথিক জুরায় তাহার পরাণ!
শরতের সাদা মেঘের পালে কাশ ফুলের বনে,
কিশোরী মেয়ে নাচে গঙুর পরে পায়ে।
শীতের সকালে কুয়াশার ফাকে সূর্যি মারে উঁকি,
তুমি মোদের রূপসী বাংলা তোমার রূপ দেখি।
খেজুর রসের মিষ্টি গন্ধে,
মন আকুল অজানা স্বাদে।
অগ্রাহয়ন মাসে ধান কাঁটার শেষে,
নতুন পায়েসে নবান্ন উৎসব চলে ঘরে ঘরে।
হিজল গেওয়া ঝাউয়ের বনে,
শনশন করে বায়ূ বহে,
পাতার মরমর শব্দে নদীর কলতানে,
আমি মুগ্ধ বাংলা তোমার রূপ দেখে!
অতিথী পাখিরা চরে ঝাঁক ঝাঁক বেধে,
জলে খেলে ডুব সাতার!
মাঝিরা গায় ভাটিয়ালী গান।
বালুর চরে সোনালী রোদ পড়ে,
বালু কনা মুক্তা মালা চিকচিক করে।
পশ্চিমে সূর্যটা নামে পাটে,
সন্ধ্যায়পাখিরা ফিরে তাদের নীড়ে।
তোমায় দেখে জুরায় মিটাই পিপাসা,
তুমিতো রূপের রানী মোদের সোনার বাংলা।