এই গাঁয়ের এক চাষার ছেলে সোনার মত মুখ,
তারে দেখে জুরায় পরাণ কৃষানীর মেয়েটির বুক।
ভ্রমর কালো ঐ নয়নে মায়া ভরা চাহনি,
মুখের বুলিতে যাদুমাখা কৌতুক রাশি রাশি।
লাঙ্গল নিয়ে ক্ষেতে চলে গায়েরই পথ ধরে,
কৃষাণীর মেয়েটি হাসে তাহার পানে চেয়ে।
দুর্বাবনে হাটে কন্যা জড়িয়ে নূপুর পায়,
হিরামতি মুক্তা মালা জড়ায় তাহার গলায়।
লাউ গাছে লাউ ধরেছে ডগায় সাদা ফুল,
কলাবনে মুক্ত বাতাস দোলায় খোলা চুল।
ছেলেটি দেখে আর মিটিমিটি হাসে,
হৃদয় মাঝে যতন করে কন্যার ছবি আঁকে।
তারে নিয়ে স্বপ্ন দেখে তারে নিয়ে বাসর সাজায়,
তারে নিয়ে সুখ সাগরে সুখের তরী ভাসায়।
নিশীরাতে বাশির সূরে চাষার ছেলে ডাকে,
কৃষানীর মেয়েটির মন আনচান করে।
এমনি করে জড়িয়েছ গেছে তাদের দুটি মন।
যেন একটি সূতায় বেধেছে তাদের দুটি পরান।
ডুমুর গাছের মগডালে বেধেছে ঘুঘু বাসা,
সরল মনে সরল প্রেমে বসন্তের ঐ হাওয়া।