পশ্চিমে লাল রঙ যখন ছড়ায় আকাশে,
মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি সূর্যটার পানে।
এখনই মিলাবে আলো নামবে সন্ধ্যা,
আসবে আমার প্রিয় ক্ষণ ফুরাবে প্রতীক্ষা।
দৃষ্টি আমার ওই দূর আবছা অন্ধকার বাটে,
মুক্তোঝরা হাসি হেসে কে যেন ডাকে।
চিত্ত তখন হাওয়ায় ভাসে, মনে পুলক জাগে,
বারে বারে এমন সাঁঝ কি আমার জন্যই আসে!
দিনের শেষে স্নিগ্ধ সাঁঝে ঠাণ্ডা হাওয়ার মাঝে,
লাল পেড়ে শাড়ি পড়া মিষ্টি মেয়ে সাজে।
খোলা জানালার পাশে বসে উদাস আনমনে,
সাঁঝের বেলায় গাঁয়ের বধূ রঙ্গিন স্বপ্ন বোনে।
সাঁঝের বেলা রাখাল যখন বাড়ির পানে ছোটে,
পথের ধুলো উড়ায় নিশান, লালচে আকাশে।
গাছের পাখি শুনায় গান সুমধুর ঐকতানে,
ভোমরাটা গুনগুনিয়ে সুর তোলে রাঙা সাঁঝে।
ছোটবেলায় খেলা ছেড়ে যখন যেতাম ঘরে,
সাঁঝবাতাসের মিষ্টি গন্ধ লেগে থাকত গায়ে।
মা আমার ডাকত সাঁঝে এখনও বুঝি ডাকে,
সাঁঝ নামলেই এখন আমার মাকে মনে পড়ে।
সাঁঝবাতি দিয়ে যখন মা বলত পড়,
সাঝের মায়া তখনও আমায় করে রাখতো বিভোর।
এখন সাঁঝের বেলা মনে পড়ে অতীত দিনের স্মৃতি,
ছোটকালের সাঁঝবেলা ফিরে পেতাম যদি!
সাঁঝ আমার তাই প্রিয় সময়, প্রিয় সাঁঝের মায়া,
সাঁঝবেলাতেই খুঁজে পাই জীবন পথের ছায়া।
সাঁঝের আকাশ, সাঁঝের বাতাস সবই লাগে ভালো,
সাঁঝের মাঝেই দেখি আমি জীবন পথের আলো।
০৬/১০/২০১৮ ইং
মিরপুর-১, ঢাকা