গরীব কাঙ্গাল অসহায়-
.           আমি দুর্বল পথের ভিখারী,
হয়ে গেছি যাযাবর
.           তাই আজ পথে পথে ঘুরি ।


গাড়িতে নয়- পায়ে হেঁটে
.            দুর দুরান্তের পথে,
তারই মাঝে বসে মাঠে
.            কথা বলি হয়তো কারোও সাথে ।
কথাগুলি মোর কেউ শোনে, কেউ শোনেনা-
.            তাতে আমার হয়না কিছু মনে,
তোমাদের বলি এক সত্য ঘটনা
.           ঘটেছিল যা আমার জীবনে ।


একদা ছিল আমার অঢেল সম্পদ
.            বহু আত্মীয় স্বজন,
কি ভাবে হারিয়েছি সব
.            সেটাই আজ হয় শুধু স্মরণ ।
আমি মিতব্যয়ী নই, অপব্যয়ী ছিলাম
.            যখন যা আসিতো মোর খেয়ালে,
আমার আগে বলতনা কেউ পেলাম
.            করিতাম সবই হিয়ার অন্তরালে।
এভাবেই কাটিত আমার দিন
.             অর্থাভাব কভূ বুঝিতে পারিনাই,
হতনা কখনও মুখটা মলিন
.             হাঁসি মুখ থাকিত সর্বদাই ।


বাবার রেখে যাওয়া অনেক জমি
.             এভাবেই করেছি শেষ,
কি করিলে কি হবে ভাবিনাই আমি
.             মনে ডরের ছিলনা একটু লেশ ।
আমি করিতাম না কোনও আয়
.             তবুও থাকিতাম রাজার হালে,
ভাবিনাই আমি কবে যে কি হয়
.              কি আছে আমার কপালে ।


দিনে দিনে দিন হইতেছি দীন
.               করেছি অনেক দেনা,
শুধিবার তরে এ ঋণ
.               তাই সব করিনু বেঁচা-কেনা ।
এভাবেই একদিন সবকিছু ছাড়ি
.                বাহির হইনু পথে,
করিনু বিক্রি জমি-জমা, ঘর-বাড়ি
.                 আমার কৃত দেনার খতে ।


ধিক ধিক ওরে শত ধিক তোরে
.                 হায়রে! কপাল পোড়া অপব্যয়ী,
ভিখারী বেশে আজ ঘুরি দ্বারে দ্বারে
.                 হয়েছি আমি জীবন পরিযায়ী ।