"'ভাবো তো এখানে নীল আকাশের এই প্রান্তে শুধু গাছ আর কোমল স্পর্শ বাতাশের আলিঙ্গন.........."
"ভেবেছি "
"শুধু গাছ আর কোমল স্পর্শ বাতাশের আলিঙ্গন কিন্ত্ত"
"হ্যাঁ-হ্যাঁ"
" চারিদিক জনশুন্য, বাডিঘর, সমাজ-সভ্যতা কিচ্ছু হয়নি..
গাছ আর গাছ".
"ঘনো বন ?"
"হ্যাঁ , গভীর বন",
"সকাল না বিকেল ?"
"বিকেল ! আমরা সূর্যাস্তের দিকে হাটছি না ?"
বিকেল হলে কিন্ত্ত একটা নদী থাকবে.
ছোট্ট, আছে তো ?"
"সে তুমি জানো ! দেখতে পাচ্ছ ?"
"না, দেখতে পাচ্ছি না. শুধু গাছ তো ! আড়ালে-আড়ালে নদী. জলের কুলুকুলু শব্দ শোনা যাচ্ছে."
"চমতকার ! আমরা শব্দ অনুসরণ করে এগিয়ে গেলাম."
"কী ভাল লাগছে !"
"রূপ ?"
"বলো."
আমি কে বলো তো ?"
"কথা."
"না যুবক."
"আমি ?"
"যুবতী."
"যুবক-যুবতী  হেঁটে যাচ্ছে...."
"গভীর বনের মধ্য দিয়ে."
"অজানা নদীর শব্দ শুনে-শুনে...."
"আর কত দূরে বলো তো ?"
"তুমি বলো."
"আমি পারব না. ভেসে যাওয়া পাখি. শুধু উডি."
"আমারও শুধু উড্ তে ভাল লাগে."
"তবু রূপ, জগতের সঙ্গে মেয়েদের সম্পর্ক খুব গভীর. পুরুষের শেকড় দীর্ঘ হয় না. সে অসহায়."
"নতুন কথা শোনালে !"
'কথাটা একটু নাড়াচাড়া করে দেখো. পুরুষের দাবড়ানিই সার. তাকে করুণা করো..."
"রূপ আর কত দূর ?"
"রূপকথার মধ্যে আমাকে নিয়ে এসে এখন পালাচ্ছ ?"
"পালাচ্ছি না তো ! পৌঁছতে পারছি না. আমার দৌড় এই অবধিই. তোমার শেকড়ের কাছে জিজ্গেস করো, নদী আর কত দূরে ?"
"বেশ ! বলো বিকেল ফুরোচ্ছে ?"
"হ্যাঁ. "
"আকাশে রং লেগেছে ?"
"লেগেছে."
"আমার চোখে ?"
"আঃ !"
"কাছে এসো. এই নাও আঙুল. তোমার আঙুলে ছোঁয়াও. দেখতে পাচ্ছ নদী ?"
"হ্যাঁ "
""কথা !"
"বলো রূপ."
"এই গভীর বনে নদীর কাছে পৌঁছতে মাত্রই সব গোপন আলো জলে ভেসে এসে একবার
করে ফেলে রূপকথার মিলনক্ষেত্র ..."