পথের সকল সামগ্রীর মতই যখন চোখ পড়ে মেয়েদের দিকে
প্রথমে মুখ, তারপর বুক এবং তারপর আরও নিচে
মনে হয় অই সকল প্রাণী জাতিয় জীবদের আর কিবা আছে
দামনিয়ে দরকষাকষি করে একটা সিদ্ধান্তে এসে যাই, চলে কি চলে না !


শরীরের মধ্যে একটা আস্ত অস্তিত্বের বীজ নিশ্চয় আছে
প্রবহমান কাল ধরে আছে জন্মদানের আবহমানতা  
তবু বিস্ময় নিয়ে থাকে বিচারের দায়, তুমি কতটা সুন্দর হলে
মত দিয়ে আসি এযাবৎ বিয়েতে থামা প্রাণের খোঁজে


সুন্দরী বলাটা এবং সেভাবে বলে তাকে একটা গুনে বিচার করা
সম্মানে বাঁধে কিনা ? ভেবেছি অনেকবার, তবু চোখে আর মুখে
অমন সৌন্দর্য মেপে মেপে এতকাল চলেছি বলেই এই বিস্তীর্ণ
সভ্যতার ভার বয়েও মেয়েদের দেখে চলি চলা ও না চলায় ?


তুমি শাড়ি পর, তুমি বোরখা পর, তুমি ত্বক ঢাক
তুমি এভাবে জোরে মানে উচ্চ সবরে কথা বল না
বলনা কথা সুরঞ্জনা অই যুবকের সাথে, অই পথে
হেঁট না তুমি, বেশ্যা তোমায় বলা যেতেই পারে শোন
একবার যদি তুমি বেসেছ ভাল তোমার মত করে এক থেকে দুইয়ে


তোমার ইচ্ছের দরপত্র নিলামে অনেক আগেই
কিনেছে সমাজের ভালোত্বের  পুরুষ পোশাক, তোমার খদ্দের
আহা, যেন তোমার ভালোত্বেই পৃথিবী এবার বেঁচেছে অমরত্বে
তোমার ভালোত্বে তোমার শরীর ধুয়ে কাব্য হবে, আহা কালজয়ী


আসলে তুমি মেয়ে --- তুমি বাজারজাত জন্মেরও আগে !
তোমার ইচ্ছের ধমনিতে বয়ে চলে শাষনের ভাল রক্ত উজাগর।