সব বিষণ্ণ ভালো লাগার কথাও নয় তবু
যদি এই বেশ শিত শিত সকালের আগেই
দেখা যেত কত রাত তুমি সেই এক যুগ
বিষণ্ণতায় এত কাল আমায় ভালবেসে গেলে
যেন এ ভাবেই তুমি সর্বজয়ী হতে পার, পার
নীলকণ্ঠই বনবাসী মানসী, উপন্যাসিক প্রেমিকা !


এই প্রেম চাইনি বলেই পিছু ফিরে তাকাই
আমার জয়ী হবার বিন্দুমাত্র তফাত পাইনি
বিজিতা হলেও, মনে পরে যেন সেই সহসা
বলেছিলে, বৃক্ষ হতে পত্র খসিলে, রাজন বলেন
কি হইল ! রামের জন্ম ! আবার পত্র খসিলে
রামের মৃত্যু ! আর কেন একটি পত্রও খসিল-না !
নাকি খসিলেও কেউ দেখেনি অপ্রয়োজন ভেবেই
সীতার জন্ম মৃত্যু, কাহিনী এবং জীবনেও কি এত
বিষণ্ণতাও তুমি দাঁড়ীয়ে থাকতে! দাঁড়ীয়ে থাকতে,
এই যে প্রবহমানতার সংজ্ঞা বয়ে চলেছে ন্যায়ের
সেই ন্যায় রূপ ঢেলে তাকে আনন্দময়ী করার জন্য ।


তুমি মানসী হয়েই সুন্দর করে দাও বিচার, যেন
সব বিচার সুন্দর, আনন্দের হত, শুধু ঠিক বা ভুল নয় !