তুমি নদী দেখেছ? জোয়ার ভাঁটার নদী।
দুকুল ছাপিয়ে নদী। বৃষ্টি ভেজা নদী?


কতটা গভীরে যেতে পারে দিনের আলো !
রাতের অন্ধকার, অগোচরে যতটা যেতে পারে
নাকি পারের কোলাহল, অভিমান, সম্মান,ক্ষোভ
পাশে ফেলে, একজীবন অনন্ত বেঁচে থাকায়
ভেসে যেতে পারে অনায়াসে, বন্ধু, সেও কি জানায় বিদায় !


থর থর করে ভেসে গেছি, রোদের বুনো সভ্যতার
গায়ে পোষমানাতে, একটু একটু করে সৃষ্টি করেছি
প্রযুক্তি, আরাম, তারপর সেই অতি ব্যবহারে, এই নদী
বন্ধু বিষিয়েছে, আমাদের প্রেমও যেমন অতি প্রেমে
কখন নীল হয়েছে, বিষের মত, টের পায়নি, একেই কি বলে "পাপ"


কখন খারাপ হয়ে গেল আমাদের এতগুলো ভালবাসার দিন
যেন উবুড় হয়ে হেরে গেছে, যুক্তি প্রযুক্তির মত আরামে,
এক অতি প্রিয় শব্দের ফাঁসিতে চেপে, সে ভবিষ্যৎ
মনোরম ভবিষ্যৎ তোমায়, আমায় এত তাড়া করল কেন !


কেবল বলতে, সেই মানিক বাবুর কুসুমের মত, তোমার কি মন নেই !
কেবল শরীর আর শরীর। এখনো মনে আছে, তোমার জিহ্বার স্বাদ
আমার ক্রমাগত বিষাদ দুর করতে করতেই শরীরে সারাংশে আমাদের
সবটুকু রাত আরও কালো হত, যেন নদীর সেই প্রান্ত, যেখানে আলো নেই


আমি বলতুম, আমি মরে গিয়েও দেখাতে পারব না,এই শরীর আর মন আলাদা নয়
মন আছে বলেই শরীর, তোমার লাবণ্য, ডাঙ্গার মত আমার আলোড়ন সবটাই এক
বিবস্ত্র অস্বস্তি আর অন্তহীন আগ্রহের সন্দেহে, তুমি পেরে উঠলে না, পাপ এসে পাশে
দিয়ে গেল, সেও এক সঞ্জীবনী, সেও এক গন্তব্য, পথ আছে বা পথ করে যেতে পারে
যেমন নদীতে চড়া পরে, আর পেরে না উঠে, কত ভাঙ্গন আর ঠেকানো যায় !
চড়া, বন্ধু দেখেছ কি, বালু মটির কাদা কাঁদা ঢেকে যায়, দিক হারা আশায়
যেন বলেছে সেই কথা, কতবার প্রকাশ্যে বা চুপে, বিদায়, প্রেমিকা বিদায় !