(আমার মনে হয় ... আল্লাহ বা ভগবান সবার। তাই তাদের নিয়ে মত প্রকাশের ব্যপারে সবার যোগদান থাকাই বাঞ্চনীয়। কেউ বলবেনা তারা আছেন। কেউ বলবেন নেই। কেউ বলবেন তার সর্বশক্তিমান কেই তা বলবেন না। আমরা এই পৃথীবিতে এক সেকেন্ডে কত শব্দ উচ্চারিত তার আর কতটুকু শুনি। আমাদের শব্দের গুন দোষ যিনি বিচার করবেন -- যারা আল্লাহ বা ভগবান বিশ্বাসি তাদের মতে আল্লাহ বা ভগবান। আর যারা বিশ্বাসি নন, তাদের না হয় বিচার হোক আইনে, আর তা যদি না থাকে তালে ছেড়ে দেওয়া যেতে মহা সময়ে। আমরা সবাই মরে যাই। এটাই ইতিহাস বলছে। জানিনা এমন কোন সময় আসবে কিনা -- যাতে আমাদের আর মরতে হবে না। ততদিন পর্যন্ত যে মরে যাবে, তাকে না মেরে ফেলে তার অবিশ্বাসের শব্দগুলোকে উপেক্ষা অথবা উপভোগ এটাই তো করা যেতে পারে। যাকে মারলাম... তাকে একটা শিক্ষাদিয়ে ফিরয়ে আনতে পারলে... মারাটা না হয় গন্যকরা যেত -এই নিয়েই আমার আজকের লেখা )


কিছুতেই কমছে না সংখ্যাটা
বিপ্লবের ধার সাদা চাদরে জড়িয়ে যাচ্ছে
নিতম্ব খুলে পৈশাচিক রক্তের হামাগুড়ি
বেড়েই চলেছে, একের একের পর এক
মানুষের অতীন্দ্রিয় বোধ দ্রবণে কেমন গুলে গেছে
ধর্মের পোষা পাশবিকে, ঈশর আল্লাহ কেমন অসহায় !


শব্দের ব্যবহার কি শেষ, নাকি আরও কিছু বাকি থাকে
মৃত হলে সব শেষ হয় বোধ হয়, নাকি আরও কিছু
অমরত্ব গজিয়ে ওঠে, প্রান্তরে, ভ্রূণে কিংবা বিবর্তিত আল্লাহয়
ভগবানে, আমার নয়, তোমার নয়, কারো নয়, তবু যেন
এক রাশ মৃত্যু শেষ হয়ে আসে, সমাধানে কিছু কিছু মানবিয় শব্দের


তুমি অস্ত্র ধরছে, অস্ত্রে রক্ত মেখেছ, স্তব্ধ বাতাসে তুমি ঢেলেছ নীরবতা
তারপর ! আরও কত অহল্যার বেয়াদবি তুমি বাজেয়াপ্ত করেছে এই নিরিখে
এই ভেবে, এই শেষ, এই শেষ বার, শব্দের কোলাহলে, আল্লাহ - ভগবান
এবার নিরাপদ, এবার নিরাপদ কিছু অবিশ্বাসের হাত থেকে, মৃত্যুর থেকে!


আল্লাহর কি মৃত্যু হয়, বা ভগবানের?
তালে এই নিরাপত্তার প্রয়োজন কি এতটাই প্রয়োজনীয়
নাকি এও এক বিলাসিতা, এক পরাক্রমি ভগবান
এক পরাক্রমি আল্লাহ হয়ে ওঠার কি সাঙ্ঘাতিক আয়োজন !


তুমি মেরেছে মানুষ, মানুষ মেরেছে তোমায়, রোজ রোজ
সংখ্যাটা কিছুতেই কমছে না... অস্ত্রে, ভাতে হাভাতে দীর্ঘতায়
বেড়েই চলেছে, বিপ্লব বেড়েই চলেছে... একে একে সমস্ত
নিতম্ব খুলে পৈশাচিক রক্তের ওঠানামায়, এক দীর্ঘ ব্যথায় !