বাহিরে গেলে হয় নিপীড়ন, করে সব পুলিশে,
সকল অত্যাচার জুলম নির্যাতন,
এসব এখন হয় অফিসে।
মানবতা আজ, হয়েছে দেখানো কাজ,
সত্যিটা রয়ে যায় আড়ালে,
সবাই দেখে চেয়ে, ওরা কত নীচে-
নামতে পারে যেন, মানবতা হাড়ালে।
পশুদের হাসি কভু যায়না দেখা,
পারলে সে বিষয়ে কিছু দিতাম লেখা


বাসায় বাসায় কত কাজের মেয়ে,
হাহাকার করে শুধু খেতে না পেয়ে।
তাদের উপরে চলে জুলুম নির্যাতন,
দিনে দিনে বেড়ে হয় সীমাহীন,
বুক ভরা হতাশায়, এটাই জানতে চাই
এসব বন্ধ হবে কি, কোন দিন?


আইনের কাছে নাই আইনত কাজ,
উল্টোকে সোজা মেনে চলছে সমাজ।
তৃণমূলে চ্যালা থেকে মন্ত্রী বা আমলা
প্রজা দমণে চালায় হামলা আর মামলা ।
দমণ পীড়ণ দিতেই খুব পারদর্শি
শুধু মুখে বলি মোরা দেশ ভালবাসি।


কোমলমতি শিশুরা যখন চায় অধিকার,
কেউ কেউ বলে যেন ওরা রাজাকার,
সত্যি রাজাকার যদি এমনই হয়,
আমিও হব তা করি নাকো ভয়।
৭১ ও ছিল এমন রাজাকার,
যুগে যুগে ওরা যেন আসে বারবার,
আজ দেশের ক্লান্তিকাল রয় বহমান,
অধিকার চাইলে হারায় মান সমভ্রম।
পাকহানারাও ছিল ভয়ানক হায়না,
চেতনার ধারকেরাও কম যায়না।


বিদ্রোহীদের করে নিয়ে যায় বন্ধি,
ছাড়তে রাজপথ করতে চায় সন্ধি।
দামাল শিক্ষার্থীরা মানেনা যখন,
চালায় নির্যাতন, খুন-ধর্ষণ,
কিশোর-কিশোরীরা আজ চেতনার বলী,
নরপশুদের সাথে কিভাবে চলি।


স্কুল কলেজে অফিসে কি বাজারে,
নয় কেহ নিশ্চিত নিরাপদ,
আবার আনতে হবে, মুক্তি যুদ্ধ করে,
ছিনিয়ে গড়তে হবে স্বাধীন এক জনপদ।
হোক সৈরাচারের অবসান
মুখে মুখে তুলে এই স্লোগান,
রাজপথে নামো বয়-বৃদ্ধ,
তবেই মানবতা পাবে স্বাধীনতা,
হলে আরেক মুক্তি যুদ্ধ।


যারা নিরাপদ সড়কের-
জন্য তাজাবুকের
রক্ত দিয়ে দেয় বিলিয়ে,
তাদের সহপাঠী যুদ্ধে সহযোগী
বোনদের ধর্ষণ হায়নারা করে
সব মিলিয়ে।