চারিদিকে আজ কত রকমের উন্নয়ন যে দেখি,
মনে কি আছে গত বছরের বেতন আজো বাঁকি ?
সকাল হলেই অফিসের কাজে নিজে হয়ে যাই ব্যস্ত,
কত কাজ আর কত কি যে হয় আমার কাঁধে ন্যাস্ত,
কাজের বোঝা মাথায় নিয়ে সারাটি বছর ঘুরি,
তবুও যে ভাই মাস পেরুলেও পাচ্ছিনা মুজুরী।
করোনা এসে বড় লোকদের পকেট করেছে ভারী,
গরীবের সব রুটি রুজির পথ করোনা নিয়েছে কাড়ি।


গার্মেন্টস মালিক পায় যদি সরকারী প্রনোদোনা,
প্রশাসন বলে বতেন দেড়িতে ব্যবসা ভালনা।
কখেনা বা বেতন অর্ধেক দেয় বোনাস দশ শতাংস,
কিন্তু তারা নিত্য খাবারে খাচ্ছে গরুর মাংস,
শ্রমিকরা সব দিনরাত খেটে করছে যে শিপমেন্ট,
কিন্তু তাদের ন্যায্য পাওনা দেয়না ম্যানেজমেন্ট।
একজনে করে তিনজনের কাজ তবু লস হয় রোজ,
অনেক শ্রমিক না খেয়ে থাকে নিচ্ছেনা কেউ খোঁজ।


সরকারী সব সুযোগ গুলো মালিকেরাই তো পায়,
শ্রমিকেরা তো আর কিছু নয় বকেয়া বেতন চায়।
সময়মত বেতন চাওয়ায় গুলিও খেতে হয়,
কেমনে বল দেবে তোমরা মানুষের পরিচয়?
শিপমেন্ট ঠিকি রিকোভারী আজ তবুও বেতন নাই,
বাড়তি কিছু চাইনা মোরা শুধু বকেয়া বেতনই চাই।
বিশ্ব ব্যাপি চলছে আজি ঘাতক মহামারী,
এই সুযোগে যে যা ইচ্ছে করে যাচ্ছো ভারী,
দিনে রাতে কাজ চলছে বন্ধ নেই তো কিছু,
তবু কেন বেতন বাঁকি ঘুরাও পিছু পিছু।