রঙীন দিন হারিয়ে গেছে, আঁধার দিগন্ত রেখায়
নিপীড়ক হতাশা নিবিড় সংগী, লক্ষ্যহীনতায়।
শঠতার বলয়  ডুবে যায়, পাপের ঘূর্ণীজলে
সকল নির্মাণ ধীর লয়ে ক্ষয়, সব রসাতলে।


টেবিলে রাখা বিশ-মাখা ফল, তুমি খেয়েছো
প্রিয় মুখ ভাসে মানসপটে, হাটু গেড়ে আছো।
ভয়ার্ত শিশুর চিৎকারে সংকল্প তোমার টলে
অসাড়তা গ্রাসে তোমায়, সম্মতি গেছে চলে।


গভীর ঘুম হতে জেগে দেখ, নও তুমি মৃত
ভাবছো মরণ ধীরগতি হবে, সারবে ক্ষত।
পান্ডুর হয়েছে শরীর তোমার, হৃদয় দগ্ধ
অসহ-জ্বালা নিয়ে জীবনে ফেরা, নরকে আবদ্ধ।


সঞ্চিত শক্তি যুগিয়েছে, সত্য প্রকাশের সাহস
শুনেছি কষ্টের না-বলা কথা, তোমার দীর্ঘশ্বাস।
দীর্ঘকাল ছিলে অচেনা, তোমরা দুজনায়
হাত দুটি ধরে বলেছিলে মোরে, ক্ষমিয়ো আমায়।


জগতের হিসেব যায় না কষা, প্রকাশের শেষক্ষণে
ভাবনা শুধু তোমাকে পাওয়ার, অন্তিম শয়ানে।
যাঁচ করে বৈদ্য বিষের মাত্রা, কতখানি দেহ বিষে
জেনেছি তুমি বেঁচেছিলে, দেহে রং ফিরে আসে।


মাফ চাওয়া আর ক্ষমার মাঝে, আত্মার সুখ মেলে
কিছুটা সময় হাতে, শোকর খোদা, তুমি পূর্ণ ধরাতলে।


[৩০ ডিসেম্বর ২০১২]