আমি পূর্নিমা দেখবো বলে বসে থাকি।
আমি কোন নভোচারী নই।
আমি সেই মানুষ গুলোর মধ্যে একজন,
যারা এখনো আকাশ দেখতে ভুলে যায় নি।


আমি তাদেরই একজন,
যারা চাঁদকে দেখে, নিকট ভবিষ্যতের আভাস হিসেবে।
আমি যে অপূর্ণ এক চাঁদে পূর্ণিমার সন্ধান করি,প্রতি সন্ধ্যায়।


আমি পুরানো ধাঁচের মানুষ,
আমি একবিংশ শতাব্দীর মানুষ।
কিন্তু,এখনো আমি কৃত্রিম আলোয় ডুবে যাই নি।


সবার মত কৃত্রিম আলো আমায় ভোলাতে পারে নি,
চন্দ্রালোকিত শিহরনের কথা।


প্রতি পূর্নিমায় যে তাই আমি সব আলো নিভিয়ে দেই,
উপভোগ করি সেই চন্দ্রালোকিত শিহরণ।


মাঝে-মাঝে অপূর্ন পূর্ণিমাকে দেখি ঢেকে ফেলে নিজেকে,
কালো কেশের অন্তরালে।
আসে আমাবস্যা,আসে সে অশুভ রাত।


আমি প্রতিক্ষায় থাকি,প্রতীক্ষার মাস পেরলেই রমনী পূর্ণিমা আসে গোপন অভিসারে।
আবার আলোকিত করে গোটা সৃষ্টিকে,গোটা পৃথিবীটাকে।

সব কিছু যেন ভেসে যায়, অনুপম জোছনায়,
আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি আকাশ পানে।


অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে চাঁদ দেখেছো কি কেউ?
আমার মত করে?
আমার মতই ভালোবেসে?


দেখো কোন দিন-
মনে পড়বে, অনেক কিছু মনে পড়বে-
মৃত্যুকে,ছোট-ছোট বেদনাগুলোকে, ভালোবাসার মানুষ টিকে,কিংবা প্রাক্তন প্রেমিকাকে!


ভুলিয়ে দিবে আপন মানুষ গুলোর দেয়া কষ্টগুলোকে,
মুছে দিবে তোমার হৃদয়ে ক্ষত-বিক্ষত হওয়া দাগগুলোকে,
আবার সপ্ন দেখাবে নতুন করে বাঁচার।


আকাশ উন্মাদ করা চাঁদের ঐ স্নিগ্ধরূপ,
আমি তাকিয়ে থাকি মুগ্ধ দৃষ্টিতে।


আমি ভালোবাসি চাঁদ।
ভালোবাসি ঐ স্নিগ্ধ কোমল জোছনা।