বন্যায় বুঝি যায়রে নিয়ে ভাসিয়ে মোর ঘর!
টেনশনে তো উঠছে গা'য়ে একশো ডিগ্রী জ্বর।
অঝর ধারায় বৃষ্টি নামছে বৃষ্টির বাড়ি কই?
চারদিকে তো অথই পানি করছে যে থই থই।


কমছে না তো আকাশ পানে কালো মেঘের চর!
নামছে বৃষ্টি থামছে না তো ডুবছে বাড়িঘর।
উঠছে পানি রাস্তাঘাটে বাড়ছে বারি'র  তালে।
দেখছে কি কেউ এত বৃষ্টি হইছে কোনো কালে!


ডুবে গেছে অনেক বাড়ি মাইনী নদীর পাড়ে।
স্কুলমাঠে থাকছে তারা নিজের বাড়ি ছেড়ে।
কারও আবার ভেসেই গেছে থাকার ঘরের ছানি।
বাঁচার তরে জুটছে তাদের নাকানি চুবানি।


কৃষকেরাও হতাশ এখন ফসল গেছে ডুবে।
বৃষ্টি থামার আশায় তারা গুনতেছে দিন সবে।
সপ্তাহ, দশদিন থাকে যদি ক্ষেতের উপর পানি!
সব ফসলই পঁচে যাওয়ার সংকেতটা অশনি।


পানির ঢলে শনির কলে পড়ছে কৃষক ভাই!
পঁচলে ফসল তাদের তো আর বাঁচার উপায় নাই!
দান বলো আর ত্রানটা বলো চাল দেবে পাঁচ কেজি।
ওই দানেতে সুখটা দাতার ছবি তোলায় বিজি!


পাহাড় ঢালে কেউ করেছে নানা মাছের চাষ।
বন্যার ভয়ে তারাও এখন করছে হা-হুতাশ।
বাঁধটা যদি যায় তলিয়ে আশা স্বপ্ন শেষ।
সেই দুঃচিন্তায় যাচ্ছে উঠে তাদের মাথার কেঁশ।


পাহাড় গ্যাপে পানি জমে হইছে সমতল।
বৃষ্টি ভেজা নরম পাহাড় পাচ্ছে ধ্বসের বল।


এভাবে আর কেমনে চলে নিত্য বৃষ্টি ঝড়!
পারলে কেহ বৃষ্টির উপর বসাও মূসক কর!
কর এর ভয়ে শান্ত হয়ে যদি বৃষ্টি থামে!
সিন্নি দেবো মসজিদে ভাই মহান আল্লাহর নামে।
®
[স্বরবৃত্তঃ ৪+৪+৪+১/২]
১৪/৮/২০১৭
দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি।