অনন্য শৈল্পিক মতিতে রকেটের গতিতে মাকড়সা যায় জাল বুনে
তারই সাথে সাথে মনের জালও পাতে - স্বপ্ন এঁকে যায় গুনগুনে।
বেঁধেছি এমন বাসা দেখিতে হয়েছে খাসা পুলকে ভেসে যায় মন
দিয়ে এ জাদুর জাল কীটদলে করিব বেহাল সকাল-সন্ধ্যা অনুক্ষণ।
শ্বেতকায় জালের টানে পতঙ্গ আসিবে বানে না ভাবিয়া আগুপিছু
জালের দোলায় দুলে উল্লাস উঠিবে ফুলে জীবনে লাগে আর কিছু?
এমন প্রাসাদ ভবে কে বাঁধিয়াছে কবে নিজেকে তাই লাগে রাজপতি
কার কিবা সাধ্য করে আমায় বাধ্য করাতে তার কাছে স্বীকার নতি।
নিচে হতে আক্রমিলে উর্ধে গড়িব তিলে পাবে নাতো আমার ছোঁয়া
জেনো মাকড়সার জাল নয়তো সহজ মাল নয় ছেলের হাতের মোয়া।
হঠাৎ এলো দমকা হাওয়া শুরু জালের খাবি খাওয়া - অবস্থা হয় ত্রাহি
খুঁটিবিহীন এ জালে রক্ষিবে কোন ঢালে বাঁচানোর কোন পথ নাহি।
বায়ের বাতাস হায় ডানদিকে আছড়ায়, ডানের বাতাস দোলায় বামে
হায় নিচের ঘূর্ণিবায় প্রাণ বুঝি চূর্ণি যায় হৃদয় ফেটে যায় জলঘামে।
উপরের মাতাল বায়ু কেড়ে নেয় সব আয়ু ধ্বসে ফেলে সুখের প্রাচীর
ক্ষুদ্র এক শাখা ভেঙ্গে মিশায় মাটির সঙ্গে জালের বক্ষ হয় চৌচির।।


(আল কোরআনের সুরা আনকাবুতের মর্মাবলম্বনে অদ্য লিখিত)