বিদগ্ধ মনের কাছে সক্ষমতা দেখতে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল কেউ,
ঘটনাটা মুছে ফেলা হলেও চোখে পড়েছিল আগেই।  
তেমন করে ভাবতে চাই নাই বলেই -পেরিয়ে গেছি উহ্য রেখে,  
কাউকে মন্দভাবে উপাদেয় বানানোর চেয়ে অন্ততঃ কাউকে ছেঁয়ে রেখে।  
এসব ভাবনা আর নতুন করে ঝুলিয়ে দিতে চাই না ক্যানভাসে।  


আমার কাছে বরাবরের মতই গান – সম্বিৎ ফিরে এসো, বিচ্ছিন্নতা কেন জাগে ?  
একই কাতরতা- ভালোবাসিবার সুযোগ যদি আর নাই হয়ে থাকে; এবারেই শেষ!
বিপন্নপ্রায় ভগ্ন সারথীর শেষ চিহ্ন যাকে বিদায় বলে ক্ষান্ত হবে একসময়,
উহ্য রয়ে গেছে আরো কিছু সমঝোতা- সেখানে ভালোবাসার রং ফিকে হয় না।  
কিছু অক্ষমতা থাকলেও মনে রাখে না কেউ এতো ইজেলের কারুকাজ।  


আমি বরং একটা কবিতা লিখতে চেয়ে দম নিয়ে যাই আরো একবার।
মুখ ধুয়ে ক্লান্তিরছাপটুকুকে রসিক প্রমাণ করে উদ্যমতার ঠিকানা বানিয়ে যাই!  
তুমি আমাকে ভুল বুঝেও স্থির থাকতে পারবে ব্যাপারটা এমন নয়।
এমন করেই একে একে মুছে ফেলতে থাকি আমার বুকমার্কে রাখা সখ্যতা,
ঘটনাটা এতোটা গোপন না হলেও কেউ কেউ হয়তো বুঝতে পারে না!  


আমারে ক্ষমিয়ো, আহত হতে গিয়ে উচাটন করে দিতে চাই না আর।
ভালোবাসার অর্ঘ দিয়ে গেলেম- কোন দাবি, কোন চাহনি নয় ভালোবাসিবে আমায়?  
আমি মৃত এটুকুতেই ক্ষান্ত হয়ে যেও।
বিদায়, আল বিদায়, কভূ স্মরিও না আমায়।
শাহজাদপুর, ১৬/৮/২০২২ ইং ।