সেই আমি ভালো কবি ছিলাম-
বাবার সাথে জমিনে পার্থক্য বুঝে নিয়েছি ধান আর ঘাস।
আগাছাটা পুষ্ট বেশি কিন্তু গলায় মালা নেই।
কত বার আগাছার সাথে উপড়ে ফেলেছি ধান,
কোদালের সাথে কেঁপে উঠেছি, কুঁকড়ে গেছি;
অবশেষে মা বলেছে দুই টাকার কাজে ঔষধ দুইশত;
বাবা তুমি বাস্তবটাকে শিখিয়ে গেছ।


সেই আমি যার কথা আজো কেউ বলে-
এই বাড়ির ছেলেটা একগাদা বই হাতে স্কুলে যেত
যার নাকে ছিল জলাভূমির সিক্ততা;
মা আমার গর্ব করে, ছেলে আমার কবি হয়েছে ।


সেই আমি -যার একগাদা ভালোলাগা ছিল,  
বয়স হবার আগেই যার ছিল আরও অনেক...
তর সয়নি অস্থির বড়!
জলের উপর ভেসে উঠা জলকণা ছিল যার দৃষ্টিতে,
চোখ ভরা মোহ আর পরিপূর্ণ আস্থা বিশ্বাস নিয়ে
মানুষের ব্যাপারেও আস্তিক ছিল বহুকাল;
সেই আমি ভালো কবি ছিলাম ।


সেই আমি -হৃদ্যতা দিয়ে যে ভেজাতে পারত পাথর,
কপটতার কথায় তাকিয়ে থাকত বিস্ময়ে,
তার মনটা বড় স্বাধীন আর সত্যবাদী ছিল ।
মানুষের প্রশংসায় বাবার মুখে ছিল ঐ ফাঁকিবাজের কথা-
রান্না হবার আগেই যে চার বার হাজিরা দেয়;
সবার কাছে দোয়া চাইতেন বাবা ।


বাবার সাথে মিলে থাকা ছেলেটা বেহায়া হতে পারেনি,
অথচ তার শৈশব কৈশোর দুরন্তপনা সব ছিল।
এখন কেউ কেউ বলে,
সেই আমি ভালো কবি ছিলাম।
১৬/০৭/১১ ইং ।