চলতে থাকলাম সেই প্রতারণার গল্পটার পিছে।
নদী আমাকে খবর দিল -আরও একটু এগিয়ে যাও
সেখানেই পাবে -ফুলেরা এখন বিছিয়েছে আঁচল,
ঘোমটাটানা কোন রমণীর হাঁসফাঁস আজো অবিচল কান্না ভঙ্গিমায়।
মেয়েটা কেন যে চলেছিল আরও একটু এগিয়ে!
যদি কোন যন্ত্র থাকতো প্রতিটি ঘাটে ......কমিয়ে দিত আবেগ,
উদ্ভাবনের নেশায় চলেছিল বিশ্বাস প্রতিবিম্বের সাথে।
আমি হাঁটতে থাকলাম পুরো গল্পটাই শুনতে চাই বলে।
কাশবনের মাঝে যেন অচেনা না দেখি প্রতিবেশ ....
সেই আগের মতই দৌড় দেয়া যায়, নৌকা ভেড়ানো যায়-
যে পথে গিয়েছিল মেয়েটি হারিয়ে !
কেউ হয়তো শুনেছিল ঘুঙরু ..... মেয়েটি চলছে নির্বিবাদে,
কোমরের বিছা সেও কত স্বাভাবিক আনন্দে আর বিস্ময়ে;
ঐ পাড়ে দেখা সভ্যতার মতই স্পষ্ট!
এর আগেও অনেক পর্যটক ঘুরে গেছে যেই ঠিকানা .....চিহ্ন সময়ের,
মায়ের মনের বেদন আজো ঘুরপাক.... সাবধানী করে
অথচ সেই পশুর নখের চিহ্ন দেখেও সাবধান হতে পারেনা মেয়েটা কখনোই।
যৌবনের জোয়ারে যে ভালোবাসা ছিল ভাসিয়ে যায়;
কত বেশি মায়া জমিয়েছিল সেই চোখ আর বুকের উত্তাপ!
খুবলে খেয়েছিল একপাল হায়েনা,
প্রলয় নেমেছিল সেই চরে প্রতিটি বৃষ্টির ফোঁটায়।
এখনো সেখানে আচমকা জেগে উঠে গল্প প্রতারণার;
যেখানে ভালোবাসার ঘরে বন্দী হয় শিকার
অতঃপর হায়েনারা ছিনিয়ে নেয় বেঁচে থাকার সাধ।
২১ নভেম্বর,২০১২.