নিয়তি আর নিয়ন বাতির কাছে কেমন আবছা লাগে
হাঁসি খুশি নিয়ে পারি না আর !
মৌলিক পরিবর্তনের মাঝে দাঁড়িয়ে গেছে
দুবেলা পেটপুরে খাওয়া, তৃতীয় বেলাতে হিসাব
সালাদ নাকি ফলমূল ।


কাজু আর পেস্তা নিয়ে ভাবনা বিস্তর,
পরিবেশনার মাঝে জমকালো।
কষ্টের উপার্জিত কাঠ নাকি আর কিছু রঙ
ভাবনাজুড়ে বিচিত্রতা ।


নিয়মিত হাজিরা দেয়া কত দরবারে
আবছা লাগে আলোছায়া হেলুসিনেশন
নির্ভার হবার মত পথ খুঁজে কেউ !


দাঁড়িয়ে আছি একা ।


তাবত কর্মের মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছি সেই হতে একা।
বন্দী জীবনের ধারাপাতে নামে অন্ধকার,
দাঁড়িয়ে রয়েছি তবু ;


নিয়নবাতির শহরে তুমি,
তুমি নিয়তি;
আমি মেঠো পথ ধুলিমাখা,
আমি মলিন- পেটপুরে ভোগ চাই আলু ভর্তা ডাল
পাশের বাড়ি হতে চেয়ে আনা ছোট একটা ডিম,
নবান্নের দিনে ফ্যানাফ্যানা ভাত লাউয়ের পাতা ভর্তা ।


আমি চাই চাঁদনী মায়াবী রাত
দোল খেয়ে যাওয়া ফসলী মাঠ
রোদে জ্বলা উঠান ।


নিয়তি তুমি কবে হবে চেনা,
বেঁধে রাখা সোনার ফ্রেমের কবিতা ।