তিন শত সাত নম্বর রুমের সাথে একটা সম্পর্ক জুড়ে গেছে।
বিশ্বাস না হলে এলোমেলো চেহারাটাকে ওলটপালট দেখতে পারেন।
কত প্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা করেছে অনুমতি ছাড়াই,
কত ধুলোবালি জমে আছে পরতে পরতে।
ফ্যানের দিকে তাকালে বুঝতে পারবেন -পাখাটা
কেমন করে ধূলি উড়িয়ে অবশেষে ধরা দিয়েছে শীতের স্থবিরতায়,
পরাজয় হয়ে গেছে ধুলির স্তরের কাছে।


সবার সাথেই সম্পর্ক হয়ে যায়। যে ভালোবাসেনি সেও একদিন
বন্ধু হয়ে যায় নয়তো ত্যাগ করে শত্রুতা।
যেমন করে ভালোবেসেও বন্ধু হয়ে গেছে অথচ মনের মানুষ হতে পারেনি!
কত স্মৃতি, বেদনা আজো কেমন করে বয়ে চলি!  
দুনিয়ার সব পাখি নীড়ে ঘুমায়,
আমি চাল চুলোহীন পড়ে থাকি অভয়ারণ্যে,
দখলে নেয় ছারপোকা তেলাপোকা আর অবিশ্বাস।


মাতারি ছাড়া চলে না ব্যাডা’গো -কেমন অগোছালো!
অথচ গোছালো হয়ে যায় এই সব উদাসীন মানুষগুলোই
একবার যদি ছাত্রী নিবাসের পাশে দিয়ে হাঁটা শিখে
অথবা কেউ যদি দখল নিতে আসে এলোমেলো সম্পদ ;
তিন শত সাত নম্বর রুম কত ইতিহাস,  
ধূলি জমতে থাকে বিশ্বাসের পরতে পরতে।
হায় বেকারত্ব, হায়রে কোন মত চলতে পারা,
হায়রে চাকরি জীবন তবুও আগের দশা !


সবাই তিন শত সাত নম্বর রুম ছেড়ে উঠে যেতে চায়
ফ্ল্যাটে কিম্বা টিনের ঘরে। অথচ যতদিন তার জন্য বরাদ্ধ
এই ঠিকানা, এই কামরা-
দু চারজন প্রিয়তমা পার হয়ে গেলেও,
দু চারজন ঘটক বিদায় নিলেও,
আরও অনেক কবিতা লেখা হলেও
তাকে ছাড়বে না ব্যাচেলর এই কামরা মারাত্বক তিন শত সাত ।