প্রহরের কাছে কিছু দায় রেখেছিল শৈলী,
শ্লথ গতিতে দেখার মতভাবনা ।
অঙ্কুরোদগমের জন্য রেখে দেয়া ভাব
ভালোবাসা হয়ে ফুটেনি তখনো ।


ততদিনে গোফ স্পষ্ট হয়েছে কারো,
বাঘের হুংকারে থামিয়ে দিতে উদ্যত কিছু বেড়াল
বেড়িয়ে পড়েছে থলে হতে ।
তবুও আমি প্রহরের কাছে রেখে দেয়া
সুনিপুণ হাতের কারুকাজ দেখেছি প্রাণটাকে হাতের মুঠোয়রেখে ।


এটাই আমার ভালোবাসা ছিল ।
বুকের কোণে জমিয়ে রাখা তাপ আর নোনাজলীয় প্রার্থনা,
উদাম করে দেখাতে পারি নাই বিদ্রোহী কোষগুলি কেমন ।
যৌবনের সেই দিনলিপি- যুবক কিম্বা প্রেমিক কিম্বা যোদ্ধা
রাইফেলে বাটে কাঁধ, ছিন্নভিন্ন করার বাসনা ।


সেই হতে আর কিছু বলতে গেলে
ভাবুকেরা আমার পিছু লাগে
নিন্দুকেরা যাচ্ছে তাই বলতে বলতে শুনতে চায় আরও কিছু,
আরও ব্যখ্যা আরও উপাখ্যান ।


আমার কাছে প্রহর এখন ধরা দেয় না বলে
কিছু কিছু ইতিবৃত্ত ধার নেই 
তবুও ফেরাতে পারিনা সেই আসর হতে ।