তুমি যখন কবিতা আওড়াতে নিভৃতচারী হও
আমি তখন চাপ নিতে নিতে ব্যথার পাহাড়ে চড়ি ভ্রমণবিলাসী।
তুমি যখন আদ্যপান্ত ভাবতে থাকো
আমি তখন মাথার যন্ত্রণা থামাতে ঘুমিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখি।


তোমার আওড়ানো শেষ হলে কপালে জুটে তিলক।
তখন আমার ঘরে ফেরার তাড়না কেবল!  
তুমি সম্বর্ধিত হবার প্রহর পার করে যখন ফের আবার
কলম ধরে রাখো অবিচল,
আমি তবু ফিরতে পারি না ততক্ষণ।  


তুমি যখন কবিতা আওড়াতে থাকো প্রকাশ্যে
আমি তখন শুনে যাই বিহ্বল।  
সকরুণ চাহনির দিপ্তীতে রাঙিয়ে দিতে থাকি তোমার প্রাণ,
তোমার উচ্ছলতা
আর তুমি যখন হাততালির আশায় শেষ করো
আমি তখন বাজাতে থাকি তোমার চাহিদার শেষাবধি।


আমি তবু কাছাকাছি থাকতে চেয়ে কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়ে দেই,
একদিন কাছে থাকার প্রেরণার মত কিছু কুড়াতে থাকি,
রাজতিলকের পাশে বেমানান হয়ে তুলে ধরি উচ্চতা,  
তুমি তখনো ভাবতে থাকো আদ্যপান্ত।


ফিরতে চেয়েও না ফেরার কষ্টে মুছে ফেলি অতীত।
একদিন নিভৃতচারী হয়ে শোধ দিয়ে যাই,
বোধ হতে প্রমাণক রেখে যাই আরো বেশি সশব্দের হাততালি ।  
শাহজাদপুর, ০৩/০৮/২০২২ ইং ।