নারী
জোৎস্না ভেজা মায়াবতী রাতে
যদি আমি ডাকি, তুমি আসবে?
যদি বলি গোলাপ এনো সাথে,
বলি খোঁপায় পড়িয়ে দিয়ে
আমার সুখে ভাসো?
ভাসবে?


কবি
আসবো সখি, আসবো।
ভাসাও যদি স্পর্শ সুখে,
মুখ লুকিয়ে তোমার বুকে
সুখ সাগরে ভাসবো।
আসবো সখি, আসবো।


আর কিছু তো প্রার্থনা নাই,
কাব্য এবং নারী ছাড়া।
ওটা পেলে জাহান্নামেও
যেতে আমি এক পা খাড়া।


নারী
তবে শোনো কবি, আমি কানে কানে বলি:
তুমি হও ভ্রমর আমার, আমি পদ্মকলি।
আইসো পদ্মসরোবরে মধু-সিঞ্চনে
শতদলে ফুটবো আমি ভ্রমর-গুঞ্জনে।


কবি
প্রনমহি বঙ্গনারী, ভালোবাসিলে এ দীনে,
অবশ্য আসিবো আমি, আসিব বিজনে।


নারী
সময় গেলে সাধন হবে না কবি,
ব্যর্থ হবে, ব্যর্থ হবে সবই।


কবি
এতই বাসনা যদি, তবে,
সময় গেলেও সাধন হবে।


নারী
সুখের হাওয়া উড়িয়ে নিলে বুকের আঁচল,
বক্ষচুড়া লুকিয়ে আমি রাখবো কোনখানে?
বনের দোয়েল ওরে, বল না গিয়ে তারে-
লোকচক্ষু দেখার আগেই আমার কুচযুগ
যেন সে লুকিয়ে ফেলে তার বাহুর বন্ধনে।


কবি
অপবিত্র আবরণ অপসৃত করে
শিল্পীরা এঁকেছেন নগ্ন দেহছবি,
লোকচক্ষু তৃপ্ত হলে উলঙ্গ সুন্দরে-
তুমি প্রিয়া হবে, আমি এক কবি।


নারী
চিত্রকলা সহজ নয় হে সোনা,
কোথায় জল ছাড়তে হবে,
কোথায় রঙ ধরতে হবে,
কবির আছে তো সব জানা?


কবি
আছে, আমার ‘কামসূত্র’ পড়া আছে।


নারী
তবে কামপত্রখানি খোলো,
আমি কবির কামের মঞ্চে উঠি।
দেহকাব্য তখন দেখো,
উঠে কেমন পুষ্প হয়ে ফুটি।


কবি
তবে তাই হোক, প্রিয়তমা,
কামপত্র প্রেমপত্রকে দিক ছুটি।