আমাকে ছেড়ে যেতে চাও, যেয়ো
আমি আর কোন শক্তিতে বেঁধে রাখবো তোমায় ?
মনই যখন ছেড়ে গেছে অন্য কোথাও অন্য জন্যে
শরীরটা পতিত জমির মতো মিছে মিছে কেন আর ধরে রাখাবো!


চলে যেয়ো- মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়ে বেড়িয়ো-যত্রতত্র!


তুমি ভাবছো আমিও তখন খুব কষ্টে থাকবো?
হু-তুমি কিন্তু ভালো করেই জানো কষ্টে থাকে না দক্ষ চাষী!
যে কোন জমিকেই চাষ যোগ্য করে নেয়
যে কোন সময় যে কোন অবস্থাতেই-


কিন্তু আবার সব চাষাই সব জমি উত্তম চষতে পারে না
আর আমি কেমন চাষা তোমার মোটেই নেই অজানা !


আমার রাত ভোর হাল চাষ, নিংড়ানো পদ্ধতি
অক্লান্ত শরীরের ঘাম তোমার খুব আরাধ্য আমি জানি !
আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর বুঝতে পারবে
ধনীর ধন দৌলতে কোন অর্গান নেই!
ধনীরা জানে না কিভাবে একটি জমি চাষ দিতে হয়
কতোটা চাষাবাদে জমির পরিপূর্ণ উর্বতা বাড়ে
ঘরে তুলে আনে সোনার ফসল।


অষ্টাদশী মেয়ে তুমি
ভালো করেইতো জানো-
চাষবাস ধনীদের দিয়ে হয় না, ওরা পারে না ও তেমন
জমিতে হাল নামাতে নামাতেই ওরা ক্লান্ত প্রায়!
চাষ দেওয়ার সময়ে মাত্র মিনিট কয়েকও টিকে না জমিতে!
সারাদিন আনন্দ আডডা, হুইসকি মদ নীল ছবির নেশায় ওরা বুঁদ থাকে -
অলস সময় ক্ষেপন,মাষ্টারবেশন আর বহুগামীতায় হারায় চাষের পৌরুষালী বল!


গরীব মধ্য বিত্তদের কেবল মানায় চাষাবাদ আর ফসলের গান!
সবুজ শাক সবজি,ফল মুল আর দেশীয় খাবারে গড়ে শরীরের সুঠাম ভীত!
সামাজিক বিধি নিষেদ আর সুষ্ঠ জীবনাচরণে গড়ে উঠে সামর্থ্য পুরুষ!


আমিতো একেবারে দীনহীনও নয়
আছে পুকুর জমি গাছ
থাকার মতো পরিমিতি আবাস
তবুও ছেড়ে যেতে চাও?
নজর করো আকাশচুম্বী!
তবে তুমি আমাকে ছেড়ে যাও
অট্টালিকার বৈভবে ভাসাও -
লোভের নাও-
সেখানে ধন পাবে দৌলত পাবে
ভোগ করানোর নেকড়ে পাবে
কিন্তু -
সেখানে সত্যিকারের পুরুষালি পুরুষ পাবে না!
তারা যে বহুগামী
একজমি চাষ করে ওদের মন ভরে না
তাই একজমিকে ওরা নিজেরও ভাবে না কখনো!
জমিদারী বংশ কিনা!


নিজের অস্তিত্বের চিহ্ন যখন পাবে না
দৌলতের দেয়ালে কখনো
তখন হয়তো ভাববে-
’’ওখানে আমার একছত্র অধিকার -
এখানে আমি শুধুই শুন্য’’
কিন্তু ততদিনে যদি ঢের দেরী হয়ে যায়?
যাওয়ার আগে তাই ভাবতে বলছি তোমায়-
কেবল ভালোবাসি বলে!
তারপর না হয় যেয়ো
আমাকে ছেড়ে কৌলিন্যের পাড়ায়!

_________
পতেঙ্গা,চট্টগ্রাম।