সমস্ত শহর যখন ঘুমিয়ে যায়
ইটের খাঁচার ভিতর-
স্বপ্নীল আলোর সাগরে
মখমলের আরাম নিতে নিতে-


কাঁশ বনের ঝুপরী থেকে আস্তে ধীরে
মাথা বের করে না ঘুমানো নিশাচর পাখি।
ব্রীজের নিচে, টার্মিনালে , রেল লাইনের ধারে
কিংবা আরো ঘন অন্ধকার বস্তিতে-
জেগে উঠে কোলাহলহীন!


কিছু কিছু আলোর পাখিরা -
যারা সূর্য্যের কালে শহর লোকালয়ে সম্মানীত একএকটি!
ডানা মেলে দিক নিশানা করে--
যেখানে নিশাচর পাখিরা সাজে
বাহারী ঢঙ্গে- মেয়াদ উত্তীর্ন পারফিউমে!


নরম মোদির মৌ মৌ গন্ধের সন্ধানে পথ খুজেঁ খুজেঁ
এই ঘোর অন্ধকারে দেয় চুপ চুপ ডুব -
কৌলীন্যের পাড়াকে ঘুমপাড়িয়ে !


কুপি বাতির টিমটিম আলোর স্যাঁত স্যাতেঁ শক্ত বিছানায়ও
ভ্রমর পায় যষ্টী মধুর মিষ্টি সুখ
ঢেকুর উঠে পরম তৃপ্তির-
হরিণ ছুটানো হিংস্র হায়নার মতো
বল হারানো নপুংসক
ঘামের লবণ জলে সারে শ্রান্তির স্নান !


জলে ভাসা হাঁসের মতো গা ঝাড়া দিয়ে ঝাড়ে
সুশীলের যতো লবণাক্ত ঘাম-
বিষাক্ত ঘাম মেখে গায়
সুখ বিলানো নিশাচর পায় সামান্য দাম
কখনো কখনো বাঁধে বিপুল বিতন্ডা!
নির্ধারিত সামান্য দরও মানে না যখন সুশীল সমাজ!


সমস্ত আঁধারের লেনদেন করে ইতি
ঝুপরীতে লুকায় ফের নিশাচর পাখি
সূর্য্যালোকের লোহিত চোখের তাচ্ছিল্য ভরা চাহনির ভয়ে-
ছেঁড়া কাঁথার আড়ালে আরো আঁধার খুঁজে!


আর সুবেসাদিকের অন্ধকারে টুলো টুলো চোখে
ঝুপড়ির কালো গুমোট বিছানা পিছনে ফেলে
শহরের দিকে পাখা মেলে দেয়-
বাড়তি সুখান্বেষী কিছু সুশীল পাখি!


অন্ধকার ঝোপে নালায় জমা পড়ে
অসূচি টিস্যু আর জন্ম বিরতীকরণ পলি !


12.05.2020
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।