বোশাখের খরতাপে উত্তোপ্ত আকাশের নীচে
জ্বলতে থাকা কৃষোক কাঁপতে কাঁপতে ভূমিতে চোখ রাখে-
দেখে-
সমোস্ত জোমিও প্রচোন্ড উত্তাপে কাঁপছে থরো থরো-


জল পিপাসায় কাতোর কৃষোক
জলাভাবে ফেঁটে চৌচির সমোস্ত জোমি!


অবস্থা অনুধাবন করে কৃষোক
জ্বলতে জ্বলেতে স্বপ্নে ভাসে
আশায় বুক বেঁধে মৃদু হাসে-
তার বুঝতে কষ্টো হয় না -
এবার প্রচোন্ড বিষ্টির প্রয়োজোন!


কৃষোক জোমির আল ধরে হাঁটে হাঁটতে
জোমির সকরুণ অবোস্থা অবলোকন করে-


রৌদ্রোউজ্জ্বল গনগণে আকাশে হঠাৎ ছায়া নেমে আসে
পূর্ব পশ্চিমে পাখিদের নীড়ে ফেরার তাগাদা-
ভিন্ন এক শির শির ঠান্ডা বাতাস বোয়ে যায়-
সমোস্ত আকাশে মৃদু মৃদু গর্জনে বাজ পড়ে
প্রকৃতি আধাঁর করে আকাশে মেঘের ঘনঘটা !
আনোন্দে কাঁপতে থাকে জোমি আর কৃষোক
আসন্ন বর্ষার আগোমনে-


কৃষোক আল থেকে এবার জোমিতে নেমে যায়
জোমি নিশ্চুপ শিরশির কাপোঁনে-


আকাশে তখন বিদ্যুৎ চোমকিয়ে দূরে গভীরে
প্রচোন্ড বাজ পড়ে -কয়েকবার !


জোমির তখোন শীত আর উষ্ণতায় শিহরন লাগে ভীষোণ!
কৃষোক কাঁপে হাল চাষের আনোন্দ উত্তেজোনায় !
মৃদু বাতাসের বেগ বাড়তে থাকে
জোমির কম্পোন বেড়ে যায় কয়েক গুন !
জোমি যেনো আনোন্দ শিহোরোণে কাদঁতে থাকে
একটু একটু ঈষোৎ জলের ধারা দিয়ে-
কৃষোককে হাল চাষে করে ব্যাকুল আহবান!


কৃষোক আবারো আনোন্দে উদ্বেলিত
জোমির গায়ে ফোঁটা ফোঁটা জলের
চিহ্নে কৃষোক বুঝে নেয়-
এবার ঘোর বিষ্টি হবে- মুষোলধারে!


চারদিকে ততোক্ষণে ঘোর আঁধার-
খোলা আকাশের নিচে অন্ধকারে
জল পিপাসায় কাতোর জোমির বুকে
কৃষোক তুমুল বিষ্টির প্রতীক্ষায়-


পর পর কয়েকটা বাজ পড়ে
কড়াৎ কড়াৎ শব্দ তুলে অদূরে
বিষ্টি ঝরে মুষল ধারায়-
সমোস্ত রাত বর্ষণের পর যখন বিষ্টি থামে-


কৃষোক লাঙ্গল দিয়ে কর্ষন কার্য সারে কয়েক বার
জোমির উচু নিচু সব ডেলা ভেঙ্গে-
সমোস্ত জোমি উত্তোম রুপে কর্ষণের পর -
কৃষোক সেচের জল দিয়ে চাষ দেওয়া নরোম জোমি থেকে
লাঙ্গলের ঈষ তুলে-
ভবিষ্যতের বীজ বুনে সুফসলের প্রতীক্ষায়-


অমর্ত্য পুরুষের মতো-
পরোম তৃপ্তির ঘাম মুছতে মুছতে
ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি টানে কৃষোক!


কর্ষিত জোমির আলে ভালো লাগার পরোমানন্দে
ভালবাসার চুম্বোন একেঁ দেয় গভীর করে!


আর -
জলাভাবে ফেঁটে চৌচির জোমির সমোস্ত ফাঁটা জলে পূর্ণতা পায়!
ক্ষতো সারার মহানন্দে পরোম প্রশান্তিতে চোখ মুদে জোমি-
ভবিষ্যতের বীজ বুকে ধারণ করে !


- বাম্পার ফলনের প্রত্যাশায় !