........................
.......................
ওরে নারী
জনম ভিখারী!
ভিক্ষা করবি কতো আর?
নে’না তোরা বুঝে এবার
তোদের নায্য অধিকার।
..............................
আর কতোকাল থাকবি বসে
হয়ে তোরা ঘরকুনো....?
গভীর ঘুমে অচেতন কেনো
জাগবি নাকি কক্ষোনো..?
................................
সইবি কতো অন্যায় জুলুম
সইবি কতো অত্যাচার
নিরবে ত্ইু ফেলবি কতো
দু’নয়নের অশ্রু আর...?
.............................
নারী বলে অবহেলা
তোদের নিয়ে রঙ্গ খেলা
চলবে কি বল্ আজীবন...?
মরণ ঘুম আজ ভেদ করে তোরা
ভেঙ্গে সকল নরের ঘেরা
হ’ দেখি আজ সচেতন...!
..................................
নরের চরণ তলে তোরা
কেন এমন ভাগ্য হারা
থাকবি কি এই জনম ভর..?
আর থাকিস না নিরব হয়ে
আয় বেরিয়ে বজ্র হয়ে
আয় নিয়ে আয় তুমুল ঝড়....!


( ১৯৯৮ইং সালের এক সকাল, তখন 9/10 টার দিকে আমাদের পাড়ায় একটা বড় হাতি এলো। সবাই সেটা উৎসুক হয়ে দেখতে লাগলো। আমি ছিলাম বাড়িতে। তখন পাশের বাড়ি থেকে বিকট কান্নার আওয়াজ কানে আসতেই  খোঁজ নিয়ে জানতে পারি স্ত্রীকে তার স্বামী বেদম পিটাচ্ছেন। নিজের মায়ের কথা ভেবে তখন নবম শ্রেনীতে থাকাবস্থায় নারী জাতির এই অসহায়ত্ব নিজের মনকে ধিক্কার দিয়ে যায়- সন্তান হিসেবে পুরুষ হিসেবে বড়ই অসম্মানিত হতে থাকি।তারপর কলমটা হাতে নিয়ে পুরুষ শাসিত সমাজের বিরুদ্ধে এই প্রয়াস। আমার এই জাগরণ কোন উগ্রতায় নয় নিজেদের শালীনতার মাঝে পুরুষ শাসিত সমাজে সংসার ধর্ম  ঠিক রেখে স্বীয় যোগ্যতায় মাথা তুলে দাঁড়ানোর আহবান! আর এটাই বুঝিয়ে দেয়া- *নারী কেবল নির্যাতিত হতে আর বাচ্চা জন্মানোর সংসার ধর্ম করতেই আসেনি এই পৃথিবীতে- তাদের ও আছে স্বমহিমায় যথাযোগ্য স্থান*)
.....................
০৭.০৬.১৯৯৮ইং
সকাল
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।