নারী,
তোমায় জানতে চেয়েছি আমি বারেবার,
কখনও হৃদয় ভোলানো স্নিগ্ধ পরশ তুমি,
কখনও তৃষিত হৃদয়ে-
নিতান্ত অবজ্ঞ্যায় ফুৎকার।


তোমার স্বরূপে গড়া যেন বৈশাখী দিন,
কখনও রোদেলা আকাশ,
অথবা সঘন আঁধারে তার আলোক বিলীন।


নয়ন ঠিক কি তোমার!
এ মোর চির কৌতূহল-
কখনও আশ্রয় তা যেন,
কখনও অমৃতে নিরেট গরল।


একান্তে যারে চাও,
তারে দাও দূরে সরিয়ে সরল পরিহাসে,
আপনি যে কাছে আসে,তারে নাও আরও কাছে-
কাঁদ,
কাঁদাও কি দুর্মর হৃদয় আশে ?


কামনা কেঁদে মরে গোপনীয়ার হৃদয় মন্দিরে,
কি কর আড়াল ওই দুর্বোধ্য নয়ন নীরে ?
মনের কথা জানবে না তা আর কেউ,
হৃদয়ের কথা মুছে দেয় যেন নিরবতার কিছু ঢেউ।


পাহাড়ের দৃঢ়টা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয় রক্তিম অহংকার,
দুর্বিনীত কখনও,কখনও সন্তাপে নির্বিকার।


তুমি মরমের মর্মজ্বালা,তুমি যে পরম বিস্ময়,
তুমি স্রোতস্বিনী রূপী স্থির পাথার,
কভু নিঃশেষ হবার নয়।
অঙ্গে জড়িয়ে মুক্ত গোমেত,আড়াল কর কোন অমূল্য !
প্রসাধনে গড় অন্যকারে,
তোমার ছায়ার সমতুল্য?
অঙ্গে তোমার সর্বনাশের নেশা,
অগ্নি মিটায় যেন অতৃপ্ত জল পিপাশা।


দশদিশে তোমার বিবাগী খেলা পরিব্যাপ্ত,
নাও না কভু কিছু একান্ত করে,
খেলা হল যবে সমাপ্ত।


অঙ্গ তোমার নব জীবনাধার,চির নির্ভয় আশ্রম,
হৃদয় তোমার কুসুম কানন কভু,
করুনাধারা অবিশ্রাম।


করুনাধারা হৃদয়ে সঞ্চিত আছে যার,
আঁখিতে নগ্ন ঈর্ষা প্রাকাশে তার।
রূপের পূর্ণতা আনে ঈর্ষা তোমার,
এ যেন নারীত্বের মৌন অঙ্গীকার।


নারী,
তোমারে আমি কখনও চিনিনে,
তাই মন বিরাম নাই পায়,
তোমার পানে সকল দ্বন্দ্ব,
তবু প্রাণ তোমার পানেই ধায়।


তোমায় না বুঝে বিশ্বভুবন,
তোমার সাধনায় সঁপেছে প্রাণ মন,
জানার সাথে অজানার এ কোন মিলনমেলা !
ভুবন সাথে কর কি অবলীলায় নিষ্ঠুর খেলা ?


সহসা বেঁধে গেছে আমার সাথে অজানার সংসার,
মায়ার বাঁধনে হয়েছে দাবিদাওয়ার অভিসার।
কোথাও নেই দ্বার খোলা আর-
ধরা দিতে হবে,
হৃদয় পাবেনা কোন নিস্তার।


নারী,
তোমারে আমি জানতে চেয়েছি বারে বার,
কোথায় মুক্ত তুমি,
কোথায় পরাধীনতা আমার!