আমি এক কবিতা লিখেছিলাম,
আর দিয়েছিলাম তাতে সুর,
তখন গান হয়ে উঠল তা।
সে গানে ছিল পিপাসার কথা, ছিল নদীরও ঠিকানা।
আর ছিল পূর্ণিমার রাতের পঞ্জিকা।
ছিল-
অমাবস্যার হিসাব, তার সাথে তাঁরাদেরও অভিমান।
সেখানে আরও ছিল-
জোনাকিদের জ্বলে জ্বলে উঠে,নিভে নিভে যাওয়ার লুকোচুরি।
একটি পাখি বসে ছিল জ্বলে থাকা শিমূল ফুলের পাশেই।
হঠাৎ তার উড়ে যাওয়ার রহস্যও ছিল সেই গানে।


আমার যত কষ্ট,
যাদের হৃদয়ে ময়ূরকণ্ঠীর মত নীলচে সবুজ রঙ,
তাদের যেমন দিয়েছি সে গানে,
তেমনি দিয়েছি উজাড় করে আমার সব প্রাপ্তির লাল রঙ।
সেখানে মিশে আছে কিছু কামনা,
আছে কিছু নিষ্কাম নিরেট স্নেহ।
তাই,
এ কেবল গান নয়, নয় কেবল সুরের প্রলাপ-
এ একটি ক্যানভাস,
আমার হৃদয়ের ক্যানভাস।


তোমার কম্পিত ঠোঁটের অভিমান যখন আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি,
তখন যেমন রঙ ছাড়ায় তোমার চোখ,
তেমন কিছু রঙ নিশ্চয়ই আছে এই গানে।
দশমীর রাতে,
অথবা অন্য কোন শুভলগ্নে যদি প্রুস্তুত থাকো বেদনা সইবার,
তবেই শুনো আমার সেই গান,
জেন-
এ কেবল গান নয়, এ এক ক্যানভাস,
ঠিক আমারই মত অন্য কেউ।