এ কেমন সংসার ?
আমি আমি নেই,
তুমি ও তুমি নেই আর।
বল, তবে কেমন এ সংসার ?


একটি চাঁদরের বুকে দুইটি শরীর,
উপস্থিতির ইন্দ্রিয় যেন হয়েছে বধির,
কাছাকাছি আছি,
তবু যোজন দূরত্ব তোমার আমার,
আমি আমি নেই
তুমি ও রইলেনা তুমি আর।


যে আঁখি ঘুচাতো সব আঁধার কালো,
সে আঁখিতে দেখেছি আজ অন্য চোখের আলো।
ভিন্ন পবনে দুলেছে আমারও ক্লীব প্রাণ,
অচেনায় হয়েছে বনিবনা,
চেনার ঘরেতে অভিমান।


যে কুঞ্জে কেবলই পুষ্পের অধিকার,
সে কুঞ্জের অগোচরে অলি ও আসে বারেবার।
কুঁড়ির সাথে কখন বাঁধে হৃদয়ের খেলা,
সে খেলা ভাঙ্গে যখন, কেটে যায় বহু বেলা।


অবহেলা এ নয়,
তবু রয়ে গেছে কিছুটা অনুভব বাকি,
অগোচরে তুমি, তোমায়,
আমি, আমায় দিয়েছি ফাঁকি।


ফিরে আসা কঠিন,
তবু অপারগ কেউ নই-
নতুন করে হোক অভিসার,
এসো আবার পরিচিত হই।


আমায় জানো ঠিক ততটা, যতটা জানাযায় নিজেকে,
সে কথা হোক বারবার,যে কথা চিরকাল আড়ালেই থাকে।


চাঁদর ছাপিয়ে নিঃশ্বাসের ছাপ ছড়িয়ে যাবে দুটি কায়ায়,
তোমার চোখে তোমারই ছায়া,বেঁধে রেখো উষ্ণ মায়ায়।
আবার রচনা হোক কোন নতুন উপাখ্যান,
সে পথে হোক পথ চলা,
যে পথ করেনা কখনও-
পদচিহ্ন প্রত্যাখ্যান।