জড়তার অবসানে প্রাণের বিচ্ছুরণ জাগে নিশ্চলায়।
ক্রমিক ধারাপাতে উদ্ভাসিত হয়, একে একে সব অশ্রুতি।
স্পর্শ ভাঙ্গায় জড়তা, অতঃপর স্পর্শ জোগায় গতি।
পরিণত আয়তন লব্ধ করে, উষ্ণ নিঃশ্বাস।
অচিন্তার উদ্ভাবন এনে দেয় সুচিন্তার রসাভাস।
আকাঙ্খা, যুক্তি মাড়িয়ে ভর করে-
আপাত মৌন, অথচ অশান্ত অঙ্গকে।
জাগায় যন্ত্রনা, তথাপি জাগে সত্য।
ইন্দ্রিয় পায় প্রভুত্বের অধিকার।
প্রথমবার।
যেন খোলা প্রান্তরে, প্রথম নয়ন মেলার স্বাদ।
সেই শুরু অনুসন্ধানের।
নতুন গন্তব্যের পথে অজান সব শহরের মাঝে,
লতার মত বেয়ে ওঠা প্রতিটি শরীর-
আলো-বাতাসের অবলম্বনে পায় ভীমবিক্রম।
অসীমের অবয়বে, সসীম বাজায় কি দুর্বোধ্য ছন্দ।
অদাহ্য খোলসের অভ্যন্তরে প্রজ্বলিত হয়, অনির্বাণ আলাতচক্র।
‘সংযম’ হয়ে দাঁড়ায় তখন বিমূর্ত সাধনা।
প্রতিটি শাখা প্রশাখায় কৌতূহল হাতড়ে বেড়ায়।
মহাসাগরে পৌঁছাবার আগে-
যেমন বিমূঢ়তা বিলায় স্রোতস্বিনী, প্রতিটি শাখা প্রশাখায়।
প্রগাঢ় তনুপরশে উদ্ভাসিত হয় আলগা অঞ্চল,
অমূলের সংজ্ঞা সঞ্চয় করে নশ্বর জীবন।
শ্রমবারি সিক্ত অধরচুম্বনে বিশ্রম্ভ অধোমুখ,
উদ্বাহু আলিঙ্গনে স্থিত কায়সিদ্ধি।
ক্রমাগত দূরত্ব পাড়ি দিয়ে জয় করা দুর্গম,
অনুসন্ধান তথাপি পায়না খুঁজে শেষ বিন্দু।
একই শহরেই চলে একই আদিম অনুসন্ধান, রোজ।
প্রতিটি অর্থপূর্ণ পত্রপল্লবে,
প্রতিটি শেকড়ে -প্রতিটি শাখায়,
রেখে যায় উষ্ণ নিঃশ্বাসের অস্তিত্ব।