এই পৃথিবীর সমস্ত প্রান্তের সমস্ত বাতাসে,
মিশে আছে কত সহস্র নিঃশ্বাসের ছাপ।
মিশে আছে কত দীর্ঘশ্বাস আর কত আনন্দ,
আরও মিশে আছে কিছু অসেতুসম্ভব অনুভূতি।
কত রাত, কত দিন, কত বিকেল।
আর বিকেলের আলো ফুরিয়ে যাওয়ার ঠিক আগের আকাশ।
যে খাতা সব হিসাব রাখে, সে খাতাও হিসেবের বাইরে চলে যায় একদিন।
তবে কোথায় লেখা থাকে এ পৃথিবীর সব কিছু !
কে রাখে সমস্ত গত নিঃশ্বাসের খোঁজ?
আমার একটা জীবনেরই একটা পাতায় আমি যে সুখ দুঃখ,
অথবা-
অজ্ঞাপনীয় অনুভূতি সঞ্চয় করেছি,
তা কোথায় মিশে যাবে !
পৃথিবীর সমস্ত মরুভূমির যত বালি,
পৃথিবীর সমস্ত সবুজ পাহাড়ের যত সবুজাভ রঙ,
পৃথিবীর সমস্ত তুষারের যত শুভ্রতা,
পৃথিবীর সমস্ত মহাসমুদ্রের যত জল,
সব কিছুই কালের নীরব সাক্ষী হয়ে রইবে।
সে বালুতে,সে সবুজে, সে শুভ্রতায়, সে জলে মিশে আছে সে সহস্র মানুষের গুঞ্জন।
সুখে-তৃপ্তিতে কিংবা অবিবেচনায় কে পার করল তার সময়ের অংশ,
অথবা,
কে হেসে লুকিয়ে রেখে গেল তার আজন্মের দুঃখ।
কে আর ফিরে আসবেনা জেনেও আশ্বাসের চুমু দিয়ে গেল তার ছোটো শিশুর মুখে।
বিদায়ের শেষ রাতের বাসরে নির্বিকার মুখোমুখি দু’জনার অন্তরের শত কথা,
যা জানবেনা আর কেউ, যা শুনবেনা আর কেউ।
সে রাত কেটে গেছে সহস্র রাতের আগে।
পরিচিত নিঃশ্বাসের উষ্ণতা আর-
সবার শরীরের ঘ্রাণ মিশে গেছে এই পৃথিবীর সব বাতাসে।
সে বাতাস ছুঁয়ে গেছে সব বালু,সব সবুজ,সব শুভ্রতা আর সব জল।
যদি আবার জন্ম নাও তুমি, যদি আমায় মনে পড়ে আবারও-
এ পৃথিবীর সব বালু,জল,শুভ্রে আর সবুজে খুঁজো আমায়।
সেদিনের তোমাকে,
বিগত কালে পৌঁছে দেবে এ বাতাস।