(২০০৪ সন থেকে ২০১১ সন পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক-রাজনৈতিক -আর্থিক ক্ষেত্র দুর্বার এক আন্দোলনে অস্থির হয়ে ওঠে। কৃষি বনাম শিল্প মানুষের চেতনাকে দ্বিধাবিভক্ত করে। সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম জনপদ দুটি এ আন্দোলনের সূতিকাগৃহ। সে নন্দীগ্রাম'কে মনে রেখে এ লেখা)


------তারপর,
'হাড়-হিম করা আতঙ্ক'র আবহে
'নতুন সূর্যোদয়'র ভোরে,
গ্রামে ফিরেছে মানুষ।
বাতানুকূল সভাঘরে রচিত
'নীল নকশা' মত
আপত সফল অভিযানে
গর্বোদ্ধত হায়নার দল
উল্লসিত।


এখনও-----–
আকাশে মেঘের গর্জন শুনে,
মা, তার শিশু সন্তানকে
আঁকড়ে ধরে বুকে,
অজানা বোমাতঙ্কে।


এখনও-----
রাত পাহাড়ায়,
বিনিদ্র রাত কাটায়
হার না মানা বীর সেনানী,
যারা-----
বুকের রক্ত দিয়ে
আগলে রেখেছে চাষ-জমি।
যারা------
সর্বগ্রাসী অক্টোপাসের
বিষ-নখরের সামনে
মাথা নোয়ানি,
শত অত‍্যাচারেও।


এরই মাঝে;
'ঘোলা জলে মাছ ধরা'
কিছু দ্বিপদী জীব,
মানুষের অবয়বে
ভোট-বাক্সে জমার অঙ্ক কষে।
আর------
প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে
শোষিত-নিপীড়িত মানুষের
লড়াই চলতেই থাকে অবিরাম।  


তাই -----
নতুন সকালেও
সব রক্তচক্ষু
'হেলায় তুচ্ছ করে'
লড়াইয়ের গান,
প্রতিরোধের দৃঢ় সংকল্পে অবিচল
অগ্র পথিক এ গ্রাম,  
বীর নন্দীগ্রাম।


রচনাকাল----// ২৪ ডিসেম্বর ২০০৮ সন