উন্নিশ সাতচল্লিশের স্বপ্ন ভোরে,
এক বুক রক্ত-নদী পেরিয়ে আমরা
পেয়েছি স্বাধীনতা।  
ক্ষমতার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানে মানুষের
চাওয়া-পাওয়া ; সাধ-আহ্লাদ,
সব কিছুই  দ্বিধাবিভক্ত ক`রে
দু`টুকরো দেশ গড়েছি।  
তখনও বুঝিনি স্বাধীনতা কি ?


শুধুই পচাগলা লাশের গন্ধে
শ্বাস-রোধ করা আবহে প্রিয় মানুষের
বিচ্ছেদ-বেদনায় ছেড়েছি দেশ।  
আবাল্য খেলার সাথী, মাঠ,
চেনা পুকুর।  বিদ্যালয় পালানোর
স্মৃতি আজও চেতনায় আঘাত ক`রে।  


আজও অন্যের জন্য হাহাকার,
না পাওয়ার যন্ত্রনা, স্বপ্নের মাঝে
উঁকি মারে অতীত।
মনে হয় দেশ-ভাগ কি হওয়ারই ছিল ?
যদি নাই হ`তো ? উত্তর নেই।  


স্বাধীনতা কি শুধুই ক্ষমতার আস্ফালন !
মানুষের মন-চেতনা আর অধিকারের কোনই
মূল্য নেই ?  না কি, স্বপ্নে বিভোর, নেশায়
বুঁদ এক জাতীয় উন্মাদনা ?


আমার স্বদেশ  আজ ত্রিধা বিভক্ত !
অশান্ত কাশ্মীর, প্রহরার ঘেরাটোপে !
গুজরাটের দগদগে ঘা আজও
পীড়া দেয়।  ধিকি ধিকি জ্বলছে
আসামের আগুন !
শষ্য-শ্যামলা বঙ্গভূমি উষর।
সীমানা প্রাচীর সুরক্ষার বলয়ে
ঘুনপোকা কুরে কুরে খায় আর
প্রতিরক্ষার নামে দেশপ্রেমের সুরায়
তাজা প্রাণ ঢেলে দেয় বুকের
আঁজলা রক্ত !
বুকের পাঁজরা জ্বলে উঠতে চাই,
চেঁচিয়ে বলতে চাই, নেতাজী,
ভগৎ- আসফাকুল্লা- আজাদ,
ক্ষুদিরাম এই দেশই গড়তে চেয়েছিলে ?
নিরুত্তর অতীত !


তিয়াত্তর বছর অতীত হ`ল,
আমার জানা হ`লো না
স্বাধীনতা কি  ?


রচনাকাল  ১৫/০৮/২০১১