তৃষ্ণার্ত নও জেনেও
শীতল জল হয়ে
সঙ্গোপনে ফিরে যাই তোমার কাছে —
সমুদ্রে সাঁতার কাটতে কাটতে
একদিন ক্লান্তি এসে ভর করবে
তৃষ্ণার্ত হবে নিশ্চিত
হাত বাড়াবে এদিক ওদিক :
আমি তাই থাকি তোমার কাছাকাছি
নিজের ভিতরের হিমবাহ ভেঙে ভেঙে
রূপান্তরিত হয়ে শীতল জলে ... ... ...


আমার এই নিরন্তর রূপান্তরে
হেসে ওঠে সামুদ্রিক প্রাণীরা
ওদের জন্ম তো নোনা জলেই
ওরা তো নোনা জল খেয়েই বাঁচে —
মানবী তুমি
তোমার তৃষ্ণা তো মিটেনা নোনা জলে।


যে যার মতো হাসতে থাকুক
করে যাক বিদ্রূপ
আমি তৃষ্ণার জল হয়ে
তোমার কাছাকাছি থেকে যাবো অনন্তকাল ...
বোকা আমি হয়তো নই
অবোধ বালক নিশ্চয়ই।


(১৬/০৫/২০১৫, উত্তরা, ঢাকা)